২৮ মার্চ ২০১৭, মঙ্গলবার, ১০:৩৬

জনস্বার্থে নয় ব্যক্তিস্বার্থেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ!

সুশাসন

|| ইকতেদার আহমেদ ||

রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন ও ভাতা পান, হয় এমন ব্যক্তির কর্মকে সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের কর্ম বলা হয়েছে। ‘গণকর্মচারী (অবসরগ্রহণ) আইন ১৯৭৪’-এ গণকর্মচারী বলতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি অথবা কোনো স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, জাতীয়করণ করা প্রতিষ্ঠান অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কর্মচারীকে বোঝানো হয়েছে।
প্রজাতন্ত্রের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারীদের একটি বড় অংশের চাকরিতে প্রবেশ এবং চাকরি থেকে অবসর নেয়ার বয়স আইন ও বিধি দিয়ে নির্ধারিত। গণকর্মচারী (অবসরগ্রহণ) আইন ১৯৭৪ প্রণয়ন-পূর্ববর্তী একজন সরকারি কর্মচারী ৫৫ বছর পূর্ণ হলে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করতেন। ১৯৭৪ সালে প্রবর্তিত আইনে সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৭ বছর করা হয়। এ আইনটি সংশোধন করে ২০০৯ সালে মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৫৯ বছর করা হয়। পরে আবার এ আইনটি সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৬০ বছর করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স শেষ দফায় বাড়ানোর সময় গণকর্মচারীদের অবসরের বয়সও ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়।
সরকারি কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের বয়স পূর্বাপর ১৮-৩০ বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, যা বর্তমানেও কার্যকর আছে। সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স সর্বশেষ বাড়ানোর পর দেশের বিপুল চাকরিপ্রত্যাশী বেকার যুবকের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল যে, চাকরিতে অবসর নেয়ার বয়সের মতো প্রবেশের ক্ষেত্রেও বয়স বাড়ানো হবে।
মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মচারীরা যেমন চাকরি থেকে অবসরের ক্ষেত্রে সাধারণ সরকারি কর্মচারীর চেয়ে এক বছর বেশি চাকরি করতে পারেন, তেমনি প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের বয়সসীমা সাধারণ সরকারি কর্মচারীদের চেয়ে দুই বছর বেশি, অর্থাৎ ৩২ বছর।
সাংবিধানিক পদধারীরা এক দিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি এবং অপর দিকে গণকর্মচারী হলেও তাদের মধ্যে কিছু নির্বাচিত এবং কিছু নিয়োগপ্রাপ্ত। সাংবিধানিক নির্বাচিত পদধারীরা হলেন সংসদ সদস্য। এদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হওয়া পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পদে নিয়োগ দেয়া হয়। জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার উভয়ে সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত। রাষ্ট্রপতিও সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত। রাষ্ট্রপতি ও সংসদ সদস্যদের পদ মেয়াদি পদ। নিয়োগপ্রাপ্ত গণকর্মচারীদের একটি অংশ নির্ধারিত বয়স পর্যন্ত কর্মে বহাল থাকেন এবং অপর একটি অংশ নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত পদে বহাল থাকেন। নির্ধারিত বয়স পর্যন্ত যেসব সাংবিধানিক পদধারী পদে বহাল থাকেন, তারা হলেন উচ্চ আদালতের বিচারক। এদের পদে প্রবেশের বয়সসীমার উল্লেখ না থাকায় এমন অনেকে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সে এসব পদে নিয়োগ লাভ করে থাকেন। সাংবিধানিক মেয়াদি পদগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং সরকারি কর্ম-কমিশনের সভাপতি ও সদস্য। সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মেয়াদি পদের মধ্যে অন্যতম হলো জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রভৃতি। এখানে উল্লেখিত মেয়াদি পদগুলোয় সচরাচর অসামরিক ও সামরিক পদ থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে দেখা যায়। এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচ্য নিরপেক্ষতা, সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতা হলেও যেকোনো কারণেই হোক দেখা যায়, এগুলোকে পাশ কাটিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দলীয় সুবিধাভোগী অথবা দলীয় মতাদর্শী অথবা দুর্নীতিগ্রস্তদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
প্রজাতন্ত্রের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারীদের জনস্বার্থে নিয়োগ দেয়া হয় এবং নিয়োগ-পরবর্তী বদলিযোগ্য চাকরির ক্ষেত্রে একজন কর্মচারীকে এক কর্মস্থল থেকে অপর কর্মস্থলে বদলি করা হলে তাও জনস্বার্থে হয়ে থাকে। প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারীর জন্য একান্ত আবশ্যিক কর্তব্য নিঃস্বার্থ জনসেবা। প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে যাদের প্রবেশ ঘটে নিয়োগ-পূর্ববর্তী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আয়োজিত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা অথবা ক্ষেত্রবিশেষে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের মেধা যাচাইপূর্বক নিয়োগকার্য সমাধা করা হয়।
সরকারের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রারম্ভিক পদে নিয়োগবিষয়ক বাছাই পরীক্ষা সাংবিধানিক সংস্থা সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। অধস্তন বিচার বিভাগের প্রারম্ভিক পদের বাছাই পরীক্ষা বিধি বলে সৃষ্ট জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন দিয়ে পরিচালিত হয়। প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত এ ধরনের ব্যক্তিদের কর্মে প্রবেশের সময় মেধার ভিত্তিতে যে জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রস্তুত হয়, একজন কর্মচারীর পদোন্নতি পূর্ববর্তী বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কোনোরূপ বিরূপ মন্তব্য না থাকলে সেটির ভিত্তিতেই পরবর্তী পদোন্নতি কার্যকর হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রায় এক যুগেরও অধিক সময় ধরে দেখা যায় পদোন্নতির ক্ষেত্রে একজন কর্মচারীর রাজনৈতিক মতাদর্শ বড় বিবেচ্য।
প্রজাতন্ত্রের কর্মে সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে নিয়োজিতদের সর্বোচ্চ পদ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব। দু’টি মন্ত্রণালয় যথা আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়া অপরাপর মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব পদে বিভিন্ন ক্যাডার থেকে কোটার ভিত্তিতে উপসচিব পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের পর্যায়ক্রমিক পদোন্নতির মাধ্যমে পদায়ন ঘটে। যেকোনো মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে কর্মরত একজন ব্যক্তি নির্ধারিত বয়স, অর্থাৎ ৫৯ বছরে উত্তীর্ণ হলে আইনের বিধান অনুযায়ী অবসরে চলে যান। অবসর-পরবর্তী কিছু কিছু কর্মচারীর ক্ষেত্রে দেখা যায় এক, দুই বা সর্বোচ্চ তিন দফায় এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়।
আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। অনুচ্ছেদ ২৭-এ সুস্পষ্টরূপে উল্লেখ রয়েছে, সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবের পদসহ সরকারের বিভিন্ন সংযুক্ত বিভাগে সমমানের বা উচ্চপদে প্রয়োজনীয় যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মচারীর অভাব থাকলেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বিষয়ে সরকারের অবস্থান কঠোর হওয়ার কারণে কদাচিৎ বিশেষজ্ঞ বিবেচনায় দু-একটি ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গেছে। সে সময় সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শী হওয়ার ঘটনা ছিল বিরল। বিগত প্রায় দুই দশকের অধিক সময় ধরে সরকারের সচিব বা সমমান বা উচ্চপদগুলোয় নিয়োগ লাভের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক মতাদর্শী হওয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে এ ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শীদের অবসর-পরবর্তী এক, দুই বা তিন মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ঘটনা ব্যাপকহারে বেড়েছে। এ ধরনের কেউই বিশেষজ্ঞ বা বিশেষায়িত জ্ঞানসম্পন্ন নন, এদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতাদর্শের বিষয়টি সব সময় প্রাধান্য পেয়ে আসছে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বিষয়ে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছেÑ যেসব ক্ষেত্রে তুলনীয় যোগ্যতম ও দক্ষতাসম্পন্ন টেকনিক্যাল বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পাওয়া দুষ্কর, শুধু সেসব ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিতে অবসরগ্রহণের পর নিয়োগ করা যেতে পারে। অন্যান্য ক্ষেত্রে, অর্থাৎ যেখানে তুলনীয় যোগ্যতাসম্পন্ন লোক পাওয়া সম্ভব, এ নীতির উদার প্রয়োগ বাঞ্ছনীয় নয়।
বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ও তদসংযুক্ত বিভাগে সচিব বা সমমান বা উচ্চপদে যারা কর্মরত রয়েছেন, এদের কেউই এমন যোগ্যতা ও দক্ষতাসম্পন্ন নন যে, তাদের অবসর-পরবর্তী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া না হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রণালয়স্থ সংযুক্ত বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটবে। আর যদি যুক্তির খাতিরে ধরে নেয়া হয়, এসব পদধারীর অবসর-পরবর্তী যোগ্যতা ও দক্ষতাসম্পন্ন কর্মচারীর অভাব দেখা দেবে, সে ক্ষেত্রে এর দায় তাদের ওপর বর্তায় এ কারণে যে, এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অবস্থানÑ যেসব ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় বা তদসংযুক্ত বিভাগে তুলনীয় যোগ্য ও দক্ষতাসম্পন্ন টেকনিক্যাল বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পাওয়া দুষ্কর, সেসব ক্ষেত্রে নবীন কর্মকর্তাদের প্রবীণ বিশেষজ্ঞদের স্থলাভিষিক্তকরণের জন্য আগ থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া বাঞ্ছনীয়।
আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়ায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তদসংযুক্ত বিভাগের বিদেশের সাথে যোগাযোগ ছাড়া সব ধরনের কাজ বাংলায় সম্পন্ন হয়। সরকারের উচ্চপদে আসীন যেকোনো কর্মকর্তার জন্য শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলা ও লেখার জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যক। এ বিষয়ে অনেকের মধ্যে যে ঘাটতি রয়েছে তা অনস্বীকার্য। এ ধরনের পদে কর্মরতদের জন্য দেশের স্বার্থে প্রায়ই বিদেশ সফর অত্যাবশ্যক হওয়ায় বাংলার মতো শুদ্ধভাবে ইংরেজি বলা ও লেখার সামর্থ্য থাকা অতীব জরুরি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় রাজনৈতিক মতাদর্শী বিবেচনায় উচ্চপদে আসীন এবং একই বিবেচনায় চুক্তিভিত্তিক পদে নিয়োগ লাভের কারণে যোগ্যতা ও দক্ষতা যেমন অনুপস্থিত, অনুরূপ সাবলীলভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে কথা বলা ও লেখা উভয় ক্ষেত্রেই দুর্বলতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
সরকারের বিভিন্ন পদে নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে যারা বহাল থাকেন তাদের জন্য জবাবদিহি হওয়া এবং সঠিকভাবে কর্মসম্পাদনে সচেষ্ট হওয়া যতটুকু না জরুরি, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছে এ দু’টি বিষয়ের কোনোটিই জরুরি নয়। তাদের অনেকের মধ্যে এমন একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায় ওপরে উল্লিখিত যেকোনো একটির ব্যত্যয় ঘটলে বড়জোর চুক্তি বাতিল হবে। এ ধরনের মনোভাব যারা পোষণ করেন, এদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলে তাদের দিয়ে কখনো দেশ ও জাতির কোনো ধরনের কল্যাণ বা মঙ্গল হয় না; কিন্তু বাস্তবতা হলো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত বেশির ভাগই এ ধরনের মনোভাবাপন্ন।
আমাদের দেশে বেকার সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। উচ্চপদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ঘটনা ঘটলে জ্যেষ্ঠ অনেকে পদোন্নতিপ্রাপ্তিতে বঞ্চিত হন। তা ছাড়া এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বেকার সমস্যা লাঘবে বড় ধরনের অন্তরায়। এ যাবৎকাল আমাদের দেশে অবসর-পরবর্তী যারা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ লাভ করেছেন, এদের কেউই দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর ও মঙ্গলজনক এমন কিছু করে যেতে পারেননি, যা অন্যদের জন্য অনুসরণীয় এবং যার মাধ্যমে দেশ ও জাতি বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছে। বরং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে নিয়মিত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মে বহাল থাকাকালে যে হারে দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এ ধরনের নিয়োগ-পরবর্তী তার মাত্রা অধিকতর হয়েছে। সার্বিক পর্যালোচনায় এটি স্পষ্ট প্রতিভাত যে, অবসর-পরবর্তী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ জনস্বার্থে নয়, প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তিস্বার্থে দেয়া হচ্ছে। আর এর মাধ্যমে দেশ ও জনগণের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চেয়ে ব্যক্তির বিত্তবৈভবের সম্প্রসারণ যে ঘটছে, সে বিষয়ে দেশের সচেতন জনমানুষ সম্যক অবহিত।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
E-mail : iktederahmed@yahoo.com


http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/207273