১৫ মার্চ ২০১৭, বুধবার, ১১:৩১

দুই মাসে ধারাবাহিক মূল্যস্ফীতি অব্যাহত শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের কষ্ট বেশি


মূল্যস্ফীতির কারণে শহরের মানুষের তুলনায় গ্রামের কষ্ট বাড়ছে। বিশেষ করে খাদ্য পণ্যের মূল বৃদ্ধির ফলে গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের সীমা ছাড়িয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দুই মাসের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতিতে যেমন বেড়েছে, একইভাবে আবার ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় চলতি মাসেও এই মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বমূখী ধারা অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সূত্রমতে, নতুন বছরের প্রথম মাসের ধারাবাহিকতায় ফেব্রুয়ারিতেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ।
অর্থাৎ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে পণ্য বা সেবার জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হত, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সে পণ্য বা সেবার জন্য ১০৫ টাকা ৩১ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে বিশেষ করে গরুর মাংস ও ভোজ্য তেলের দাম কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছু বেড়ে যায়। এর আগে জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ হিসেবে মোটা চালের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করেছিলেন তিনি। গত মাসে খাদ্য খাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ছিল ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা কমে ৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে নেমেছে, যা আগের মাসে ছিল ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে গ্রামাঞ্চলেও সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে, সাধারণ মূল্যস্ফীতি আগের মাসের ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। গত মাসে শহরেও সাধারণ মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

http://www.dailysangram.com/post/275663