৩০ মার্চ ২০২০, সোমবার, ১:১০

ওরা মালিক, ওদের সম্মান করে কথা বলুন

‘দুই দিন ঘরে বইসা রইছি। আইজ আর পারলাম না। ঘরে বইসা থাকলে পেট চালাইবো কে? শরীরে অনেক অসুখ, তাও পেটের দায়ে বাইর হইতে হইছে।’ উপরোক্ত বক্তব্যটি একজন কলা বিক্রেতার।

মফস্বল শহরের কলা বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম করোনাভাইরাসে অবরুদ্ধ হয়ে সংসারের দুর্দশার কথা এভাবেই বর্ণনা করছিলেন।

মাদারীপুরের শিবপুর উপজেলার ভ্যানচালক এসকেন্দারের বক্তব্য যেন আরও জোরালো- ‘করোনার ভয়ে আর কত দিন ঘরে না খাইয়া কষ্ট করুম? সরকার তো মিল-কারখানার শ্রমিকদের পেটের ব্যবস্থা করছেন। আমাগোর তো কোনো ব্যবস্থা নাই। ঘরে থাকলে সরকার তো আর ভাত দিব না। তাই নিজেই রাস্তায় নামছি। দেখি কিছু আয়-রোজগার করতে পারি কিনা।’

ঢাকার রিকশাচালকের মন্তব্য ছিল মর্মান্তিক, তিনি তার দুর্ভাবনার কথা এভাবে বলেছেন, ‘করোনায় মরুম না, মরলে না খাইয়া মরুম।’ দিন আনতে পান্তা ফুরায় খেটে খাওয়া এই তিনজন মানুষের আর্তি আমরা দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মারফত শুনেছি।

এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতেও কম নাড়াচাড়া হয়নি! করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামার পর প্রাত্যহিক উপার্জনে সংসার চালাতে গিয়ে পরিবারগুলো যেন বিপাকে পড়ে গেছে।

কলা বিক্রেতা, ভ্যানচালক এবং রিকশাচালকের বক্তব্যের মধ্যে যেন দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের বাস্তব চিত্রটিই ফুটে উঠেছে।

এ কথা ঠিক, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতির সঙ্গে আমরা কখনই পরিচিত ছিলাম না। কিন্তু বাস্তবতা আমাদের এতদূর ঠেলে নিয়ে এসেছে। এ পরিস্থিতি আমাদের যে করেই হোক মোকাবেলা করতে হবে। এ জন্য যা কিছু প্রয়োজন তাই করতে হবে এ মুহূর্তে।

ইতিমধ্যে হেলা-অবহেলায় সময় অনেক গড়িয়ে গেছে। তবে খেয়াল রাখতে হবে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। আমাদের দেশের খেটে খাওয়া মানুষের বাস্তবিক অবস্থা ভুলে গেলে চলবে না। সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।

বিগত কয়েকদিনের মাঠের বাস্তব চিত্র কিন্তু সে কথা বলছে না। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নিয়োজিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের যে আচরণ আমরা দেখেছি তা সত্যিই হতাশাব্যঞ্জক।

জরুরি কাজে নিয়োজিত চিকিৎসক ও নিত্যপ্রয়োজনের তাগাদায় বের হওয়া পথচারীদের যেভাবে লাঠিপেটা করা হয়েছে, কান ধরে ওঠবস করানো ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে তা কোনো সভ্য মানুষের আচরণ হতে পারে না।

অবস্থাদৃষ্টিতে মনে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠ পর্যায়ে নামানোর আগে তাদের কাজের পরিধি সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝিয়ে বলা হয়নি। আর যদি বলা হয়েই থাকে তাহলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় তারা কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করেছে।

পথচারীদের সঙ্গে এমন অসভ্য আচরণে দেশব্যাপী যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ বুলালেই টের পাওয়া যায়।

সাধারণ মানুষের সঙ্গে এরূপ আচরণের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে সবচেয়ে গর্হিত কাজটি করেছেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান।

তিনি তিনজন বয়স্ক ভ্যানচালককে কান ধরে ওঠবস করিয়ে নিজের সেলফোনে তা ধারণ করে আপলোড করেছেন সরকারি ওয়েবসাইটে। বৃদ্ধদের অপরাধ, তারা মাস্ক পরেননি। সাইয়েমা হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মাস্ক না পরার অপরাধে এই শাস্তি দেন।

পিতৃতুল্য এই তিনজন প্রবীণকে শাস্তি দেয়ার এই ঘটনা সমাজের বিভিন্ন স্তরে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। কিছুদিন আগে কুড়িগ্রামের ডিসির অমানবিক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে মনিরামপুরের এ ঘটনায় মানুষের মনে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এটাই স্বাভাবিক।

আমার বিশ্বাস প্রশাসন ক্যাডারের অন্যান্য কর্মকর্তাও এ ঘটনায় কিছুটা বিব্রতবোধ করছেন। এ ঘটনার জন্য নিয়মমাফিক সাইয়েমা হাসানকে ইতিমধ্যে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে খুলনার ডিভিশনাল কমিশনারের অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এই সংযুক্তি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কিছুটা ভুল ধারণা আছে। অনেকে মনে করেন এই সংযুক্তিই বুঝি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা। মানুষ চায় তাৎক্ষণিক শাস্তি।

বিগত এক বছরের মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জড়িয়ে বেশ কিছু অবাঞ্ছিত ঘটনার জের ধরে মানুষের মনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এটা তারই প্রতিক্রিয়া।

এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় পদক্ষেপের অস্বচ্ছতা ও কিছু পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত যে এ জন্য দায়ী তা বলা যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা প্রকৃত অপরাধীদের পক্ষে যায় বলে নিজেদের মধ্যেও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। কিন্তু উপায় নেই। হাত-পা বাঁধা।

কাজেই অসহনীয় হলেও হজম করে নিতে হয় সবকিছু। সে বিবেচনায় সাধারণ মানুষের এই ধারণাকে দোষও দেয়া যায় না।

করোনাভাইরাস আমাদের জন্য বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এক মহা আপদ। সরকার এবং সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সময়োচিত পদক্ষেপ না নেয়ায় ভবিষ্যতে আমাদের যে কী পরিমাণ টোল দিতে হবে তা এ মুহূর্তে অনুমান করাও মুশকিল।

দেরিতে হলেও সরকার আপাতত যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন আমাদের সবার। সবকিছু ভুলে গিয়ে এখন সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। এ ব্যাপারে শুধু সরকারের দিকে চেয়ে থাকলেই হবে না।

দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের কিছু না কিছু দায়িত্ব আছে তা পালন করতে হবে। করোনাভাইরাস যেভাবে দ্রুত বিস্তার লাভ করছে তাতে নাগরিক হিসেবে আমরা সরকারের নির্দেশাবলি যদি পালন করে চলতে পারি তাহলেই এই মহাদুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

নাগরিক হিসেবে আমরা তার কতটুকু পালন করছি তা ভেবে দেখতে হবে। সরকারের কিছু কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাজের গাফিলতি থাকতে পারে, তাই বলে শুধু সরকারের সমালোচনা করলে চলবে না, আমাদের কাজটুকুও করে যেতে হবে।

ভাবতে অবাক লাগে এই মহাবিপদের সময় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায়ও কিছু শ্রেণির মানুষ বাধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের দায়িত্ব আরও বেশি।

কিন্তু তারাই যদি সরকারের এই কাজের বাধার কারণ হয় তাহলে মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যায়। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এমন দুটো ন্যক্কারজনক ঘটনা এখানে উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায় যা সত্যিই খুব দুঃখজনক।

এজন্য সরকারের কিছু পেটোয়া বাহিনীর উগ্র ভূমিকা দায়ী। গত ২২ মার্চ সন্ধ্যার পর রাজধানীর উত্তরার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে ভর্তি ও চিকিৎসাসেবা না দেয়ার প্রতিবাদে মানুষ বিক্ষোভ করে।

জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর পেছনে ইন্ধন জুগিয়েছেন বলে খবর বেরিয়েছে।

তিনি ঘরভরা সাংবাদিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সামনে বলেছেন, ‘আমরা এখানে সেক্টরবাসীরা করোনাভাইরাসের রোগীর ভর্তি কিংবা চিকিৎসাসেবা নিতে দিবো না।’

বিষয়টি নাকি তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে অবহিত করেছেন। পরদিন এই ঘটনাটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

অথচ উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা করার জন্য সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যে ৫টি হাসপাতালকে অনুমতি দেয়া হয়েছিল, উত্তরার সেই হাসপাতালটি তাদের একটি বলে জানিয়েছেন।

ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আকিজ গ্রুপের নির্মাণাধীন করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৩০১ শয্যার হাসপাতালের কাজে বাধা দেয়ার ঘটনাও মানুষের মনে ব্যাপক দাগ কেটেছে।

এখানেও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউল্লাহ হাসপাতাল নির্মাণের বাধার কারণ বলে জানা গেছে।

এই হাসপাতালটি চীনের উহানে তৈরি হাসপাতালের আদলে নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। হাসপাতাল করার বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের অভিমত জানতে তাইলে তিনি জানান, ‘আমি মনে করি, এটা যেহেতু মহল্লায় হচ্ছে, তাই এখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের হাসপাতাল হওয়া ঠিক হবে না। আমি এটার পক্ষে না।’

কাউন্সিলরের এমন মনোভাব কেউই ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। আশ্চর্য লাগে, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় এমন একটি মহৎ উদ্যোগে বাধা প্রদান করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারি অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও কাউন্সিলর শফিউল্লাহ হাসপাতাল নির্মাণে বাধা দেয়ার সাহস কোথায় পেলেন?

কথিত আছে, শফিউল্লাহকে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দিয়েছিলেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি, পরীক্ষিত অনেক আওয়ামী লীগ কর্মী শফিউল্লাহর এহেন কাজ ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এই দুর্যোগের সময় সরকার যাদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা আশা করে তারা হলেন, তাদের ক্ষমতাসীন দলের সব সদস্য ও জরুরি কাজে নিয়োজিত প্রশাসনের সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। কিন্তু তাদেরই কেউ কেউ যদি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে তাহলে জনগণের দোষ কী?

আগেই বলেছি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই এই মহাদুর্বিপাকের হাত থেকে রক্ষা পেতে হবে। আমাদের সবার স্বার্থের জন্যই তা প্রয়োজন। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যেতে পারি।

এ ব্যাপারে সরকারের অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি জরুরি কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদেরই উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। সরকারি দলের উগ্র কর্মীদের বিষয়ে দলীয় নীতিনির্ধারণী নেতারা সামাল দেবেন হলে আশা করা যায়।

কারণ দিনের শেষে এরূপ ঘটনা দলের জন্যই বদনাম বয়ে আনে। কিছুটা দেরিতে হলেও পুলিশের মহাপরিচালক পুলিশের সব সদস্যকে জনগণের সঙ্গে সহনশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন।

তার এই নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে বলে মনে হয়। কারণ তার নির্দেশের পর সরকারবিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের পেটনোর মতো, নিরীহ সাধারণ মানুষকে বেধড়ক মারের আর কোনো ঘটনার খবর মিডিয়াতে আসেনি।

অপরদিকে সরকারি উচ্চপর্যায়ের পরিচিত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জেনেছি, বিসিএস ক্যাডারভুক্ত সব সদস্যের জন্য বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। কোনো প্রশিক্ষণেই সরকারি সেবাগ্রহীতাদের অসম্মান করার শিক্ষা দেয়া হয় না।

কারও কারও হয়তো এই প্রশিক্ষণের মূল শিক্ষা থেকে বিচ্যুতি ঘটে। এই দায় ব্যক্তি বিশেষের, সরকার বা ক্যাডারের নয়। দেখা গেছে, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সরকার বা নির্দিষ্ট কোনো ক্যাডারের ওপর দায় চাপানো হয় যা কাম্য নয়।

আবার এ কথাও মনে রাখতে হবে, মাঠ পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তারা ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে আদালত পরিচালনা করেন।

ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা মানে বিচারকের ভূমিকা। আমি জেনেছি বিসিএস ক্যাডারভুক্ত সবার বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে এই বিষয়টির ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়। আমরা যখন এসব ভুলে যাই, তখনই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি হয়। আমরা ভুলে যাই, জনগণের করের পয়সায় আমাদের সরকারি কর্মচারীদের বেতন হয়, তাদের সংসার চলে।

এ কথা ভাবতে ভাবতে দেশে যখন অরাজক পরিস্থিতি সেই ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সেই গুরুত্বপূর্ণ ভাষণের কথা মনে পড়ে গেল।

বঙ্গবন্ধুর সেদিনের সেই ভাষণের প্রতিটি কথা আজও সমান গুরুত্ব বহন করে। তিনি সেদিন তার সেই ভাষণে বলেছিলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের বলি, মনে রাখবেন, এটা স্বাধীন দেশ। ব্রিটিশের কলোনি নয়।

পাকিস্তানের কলোনি নয়। যে লোককে দেখবেন, তার চেহারাটা আপনার বাবার মতো, আপনার ভাইয়ের মতো। ওরই পরিশ্রমের পয়সায় আপনি মাইনে পান। ওরাই সম্মান পাবে।

কারণ, ওরা নিজেরা কামাই করে খায়। আপনি চাকরি করেন। ওদের সম্মান করে কথা বলুন, ইজ্জত করে কথা বলুন। ওরাই মালিক। ওদের দ্বারাই আপনার সংসার চলে।’

একেএম শামসুদ্দিন : সাবেক সেনা কর্মকর্তা

https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/293904/