২ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ১:০৭

ইলিশে ভরপুর বাজার

ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ডিমওয়ালা ইলিশ

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন * বাজারে মিলছে পৌনে দুই কেজির ইলিশ * এবার সর্বাধিক ইলিশ ডিম ছেড়েছে -গবেষণা প্রতিবেদন

নিষেধাজ্ঞার পর আবার ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে। জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে হাজার হাজার মণ ডিমওয়ালা মা ইলিশ ধরা পড়ায় নিষেধাজ্ঞার সফলতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রজনন মৌসুমে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বুধবার মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা শুরু হয়।

এবার বড় আকারের ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে। বিপুল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ায় ইলিশের দামও কমে গেছে। এরইমধ্যে রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারে ইলিশ আসতে শুরু করেছে। রাজধানীর বাজারে পৌনে দুই কেজি ওজনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রিও হচ্ছে দেদার।

শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ এক কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে। দামও তুলনামূলক অনেক কম। যুগান্তরের ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা গেছে, এবার হাজার হাজার মণ ডিমওয়ালা মা ইলিশ ধরা পড়ছে। এ কারণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সফলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে ইলিশ গবেষকদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার ভোলার মেঘনা নদীতে সর্বাধিক ইলিশ ডিম ছেড়েছে।

শুক্রবার সকালে কারওয়ান বাজারের মাছ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বিক্রেতারা হাঁকডাক দিয়ে ইলিশ বিক্রি করছেন। বাজারে ছোট ইলিশের তুলনায় বড় আকারের ইলিশ বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ইলিশ বিক্রেতা মো. শরিফ যুগান্তরকে বলেন, নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। এরইমধ্যে রাজধানীর বাজারেও ইলিশ আসতে শুরু করেছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার আগের ধরা ইলিশও বাজারে আসছে। সব মিলে বাজার ইলিশে ভরপুর। আর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় দামও অনেক কম।

তিনি বলেন, নতুন ধরা ইলিশের মধ্যে এক কেজি ৭০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিপ্রতি ১২০০-১৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক কেজি ৩০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিপ্রতি ৯০০-১০০০ টাকায়, এক কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ৭০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৬০০-৭০০ টাকা এবং ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৩৫০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

একই বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. আরিফ বলেন, নিষেধাজ্ঞার আগের মাছও বাজারে আছে। চেনার উপায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে সব মাছের চোখ লাল সেগুলো আগের ধরা মাছ। কারণ সেই সব মাছের চোখ পচে গেছে। আর নতুন ধরা মাছের চোখ সাদা। আগের ধরা মাছ আরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আগের ধরা এক কেজি ৭০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিপ্রতি ৯০০-১০০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে ইলিশ কিনতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. মিরাজুর ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বাজারে অনেক বছর পর প্রায় দুই কেজি ওজনের ইলিশ দেখতে পেলাম। আর দামেও সস্তা। তাই প্রায় চার কেজির মতো ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরছি। ভালোই লাগছে।

রাজধানীর নয়াবাজার, রামপুরা, শান্তিনগর কাঁচাবাজারে গিয়েও দেদার ইলিশ বিক্রি লক্ষ্য করা গেছে। দামও গতবারের তুলনায় অনেক কম। কম দামে ইলিশ কিনতে পেরে ক্রেতারাও সন্তুষ্ট।

নয়াবাজারে ইলিশ কিনতে আসা নাসরিন বেগম যুগান্তরকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার আগে এক কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন একই ওজনের মাছ বাজারে ৯০০-১০০০ টাকা চাচ্ছে। মনে হচ্ছে দরদাম করলে আরও কমে নিতে পারব। এছাড়া অন্য মাছের দামও অনেক কম। নিষেধাজ্ঞার আগে ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

বরিশাল : বরিশালের পোর্ট রোডস্থ ইলিশ মোকামে বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রায় আট হাজার মণ ইলিশ এসেছে। এসব ইলিশের শতকরা প্রায় ৯৮ ভাগের পেটেই মিলছে ডিম। ডিমওয়ালা মা ইলিশ ধরা পড়ার হার দেখে অনেকের প্রশ্ন- ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে। জলবায়ুর পরিবর্তন এবং অমাবস্যা পূর্ণিমার হিসাব মিলিয়ে ২২ দিনের এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদকাল পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি।

মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা অবশ্য বিষয়টি মানতে নারাজ। তাদের মতে, ‘প্রজনন মৌসুমের বর্তমান যে নির্ধারিত সময় এটিই সঠিক। এদিকে এ বছর নদীতে বিপুল পরিমাণে ইলিশ এসেছে। এর ফলে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারেনি। তবে আমাদের হিসাবে ডিম ছাড়ার টার্গেট পূরণ হয়েছে। এখন যে পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে সেগুলোতে ডিম থাকলেও খুব একটা সমস্যা নেই।’

নিষেধাজ্ঞার পর জালে ধরা পড়া ডিমওয়ালা ইলিশ দেখে অবাক হয়েছে জেলেরা। এটা কেবল বরিশালে নয়, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ উপকূলীয় প্রায় সব জেলায় একই অবস্থা।

বরিশাল জেলা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল জানান, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সারাদিনে বরিশাল মোকামে প্রায় তিন হাজার ২০০ মণ ইলিশ এসেছে। শুক্রবার দিনভর আসা ইলিশের পরিমাণও তিন হাজার মণের বেশি। কিন্তু এসব ইলিশের শতকরা প্রায় ৯৮ ভাগের পেটেই মিলছে ডিম। বেশিরভাগ ইলিশের ওজন ৯০০ গ্রাম থেকে শুরু করে এক কেজি কিংবা তারও বেশি ওজনের। মাঝারি কিংবা ছোট ইলিশ ধরা পড়ছে না বললেই চলে।

মোকামের মৎস্য ব্যবসায়ী কামাল হোসেন কুট্টি বলেন, যে পরিমাণ ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়ছে তাতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কতটুকু যথার্থ ছিল কিংবা সময়কালটা আদৌ সঠিক ছিল কিনা সেটা নিয়েই সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে দুইদিনে হাজার মণ ডিমওয়ালা ইলিশ এসেছে। শতকরা দুটি ইলিশ মিলছে ডিম ছাড়া। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এভাবে ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়া শুরু হয়েছে ৪-৫ বছর ধরে। এর আগে এমনটা ঘটেনি। বিষয়টি মৎস্য বিভাগকে বহুবার বলেছি। কিন্তু তারা কোনো কর্ণপাত করছেন না। প্রজনন মৌসুম নির্ধারণের সময়কাল নিয়ে গবেষণা করা দরকার।

বরিশাল ইলিশ মোকামের ব্যবসায়ী জহির সিকদার যুগান্তরকে বলেন, সাধারণত অক্টোবরে পূর্ণিমার জো হিসাব করে প্রজনন মৌসুম নির্ধারণ করে মৎস্য অধিদফতর। কয়েক বছর ধরে কথিত প্রজনন মৌসুমের পরও হাজার হাজার মণ মা ইলিশ ধরা পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া ও প্রকৃতিতে নানা ক্ষতিকর পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়া, অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে ইলিশের প্রজনন মৌসুমও পাল্টে যেতে পারে। নিষেধাজ্ঞার সময়কাল ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু করে ১৫ নভেম্বরের পর্যন্ত করতে আমরা অনুরোধ করেছিলাম। এতে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পেত।

বরিশালের মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস যুগান্তরকে বলেন, মৎস্য অধিদফতরের নির্ধারিত প্রজনন মৌসুমের সময়কালের যৌক্তিকতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এবার দেশের অভ্যন্তরভাগের নদীতে বিপুল পরিমাণে ইলিশ এসেছে। প্রজনন মৌসুমের সঠিক সময়ে ইলিশও ঠিকই ডিম ছেড়েছে। হয়তো সব ইলিশ ডিম ছাড়তে পারেনি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়েছে। এখন ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়লেও সমস্যা নেই।

প্রজনন মৌসুমের সময় পেছানোর দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ডিমওয়ালা ইলিশ অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই অভ্যন্তরভাগের নদীতে প্রবেশ করে। এ সময় পিছিয়ে দিলে জেলেরা ওই ইলিশ ধরে ফেলবে। আবার সময় পেছালে ডিম ছেড়ে চলে গেলে নদীতে আর ইলিশ মিলবে না। বর্তমানে যে সময়কাল নির্ধারিত রয়েছে সেটাই সঠিক।

ভোলা : মেঘনা নদীর শাহবাজপুর চ্যানেলে এবারও ইলিশ প্রচুর পরিমাণে ডিম ছেড়েছে। এ অঞ্চলে ডিম ছাড়ার হার প্রায় ৭৫ ভাগ। গত বছর ছিল ৬৫ ভাগ। মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও পদ্মা নদী অঞ্চলে গত বছরের ডিম ছাড়ার হার ছিল ৪৭ দশমিক ৭ ভাগ। এ বছর ওই হার ৫০ ভাগ ছাড়িয়ে গেছে।

শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সব অঞ্চলের ডাটা চূড়ান্ত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য প্রকাশ করা হবে। ২২ দিন ইলিশের সর্বাধিক প্রজনন ও ডিম ছাড়ার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত শাহবাজপুর চ্যানেল, ভোলার তজুমদ্দিন-হাতিয়ার সীমানায় মৌলভিরচর, রামদাসপুর চ্যানেল, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, মতিরহাট চ্যানেল, বরিশালের হিজলামুলাদি, বরগুনা অঞ্চলে প্রতিষ্ঠানের তিনটি টিম গবেষণা পরিচালনা করেন।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান যুগান্তরকে জানান, ইলিশের ডিম ছাড়ার জন্য মূলত ভোলা ও লক্ষ্মীপুর জেলার মধ্যবর্তী মেঘনা নদীর শাহবাজপুর চ্যানেলটি উত্তম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ অঞ্চলেই ইলিশ বেশি ডিম ছাড়তে আসে। ডিম ছাড়ার হারও বেশি। মূলত ৭০ ভাগ ইলিশ ডিম ছাড়ে আশ্বিন মাসের প্রথম পূর্ণিমার আগের ৪ থেকে ৭ দিন ও পরের ১৫ দিন।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত বেশি লবণাক্ত পানিতে ডিম ফোটে না। তাই ভরা প্রজনন সময়ে ডিম ছাড়ার জন্য সাগরের নোনা পানি ছেড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ চলে আসে ভোলাসহ উপকূলের মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর মিঠা পানিতে।

চাঁদপুর : দুই দিনে চাঁদপুর মাছঘাটে বিপুল পরিমাণ ইলিশের আমদানি হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রায় আট হাজার মণ ইলিশের আমদানি হয়েছে। তবে অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম রয়েছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, আশিভাগ মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পেরেছে। অভিযান অনেকটাই সফল। নদী এলাকায় প্রচুর পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

মাছঘাটের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ডিমওয়ালা ইলিশের স্বাদ কিছুটা কম।

চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) : প্রজনন মৌসুম শেষ হলেও পদ্মা নদীতে ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়ছে। শুক্রবার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভির হোসেন বলেন, প্রজনন মৌসুমের সময়সীমা জাতীয় মৎস্য অধিদফতর নির্ধারণ করে থাকে।

শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, দিয়ারা গোপালপুর জলমহাল, চর কল্যাণপুর জলমহাল, চরকালকিনিপুর, চর তাহেরপুর, চর মির্জাপুর, চর শালেপুর, উত্তর শালেপুর, ভাটি শালেপুর, উজান মালেপুর, চর হাজীগঞ্জ জলমহাল, চর মোহনমিয়া, মাঝিকান্দি, চরহরিরামপুর, চর ঝাউকান্দা, চর হোসেনপুর, জাকেরের সুরা, টিলারচর, মাথাভাঙ্গা ও চর মঈনূট মৌজার গভীর জলমহালে জেলেরা কারেন্ট জাল দিয়ে ডিমওয়ালা ইলিশ ধরছে।

জেলে কার্তিক সরকার (৪৫) বলেন, পদ্মায় এখন প্রায় দ্বিগুণ ইলিশ ধরা পড়ছে।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের বাজারে ইলিশের দাম কমেনি। এক কেজি ওজনের ইলিশ ১১০০-১২০০ টাকা, আধাকেজি থেকে একটু বেশি ওজনের ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, সাগর থেকে মাছ ধরে জেলেরা এখনও ফেরেনি। বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লে দামও কমবে।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/239117/