৮ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার, ১:২৫

বেরিয়ে আসছে নির্যাতনের রোমহর্ষক সব ঘটনা

নির্যাতন চলত বুয়েটের হলে হলে

বুয়েটে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা এবারই প্রথম নয়, এর আগেও অনেক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময়ে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এবারের মারধরে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মৃত্যু হওয়ায় বিষয়টি সামনে এসেছে গুরুত্বের সঙ্গে। গতকাল সোমবার শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী, আহসানউল্লাহ ও ড. রশীদ হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নির্যাতনের শত শত ঘটনা। শিক্ষার্থীরা জানায়, একশ্রেণির ছাত্রলীগ নেতা ক্ষমতার দম্ভে বুয়েটের আবাসিক হলগুলোকে অনেকটা টর্চার সেলে পরিণত করেছেন। চুল বড় রাখা, ছাত্রনেতাদের সালাম না দেওয়া, এমন সব ঠুনকো অজুহাতে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কথায় কথায় গায়ে হাত তোলার সঙ্গে জড়িত বুয়েট ছাত্রলীগের হল ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির একাধিক নেতা। তাদের কথাই ছিল আইন। পান থেকে চুন খসলেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নেমে আসতো নির্মম নির্যাতন।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কিছু নেতার কথার অবাধ্য হলেই আবাসিক হলে ও ক্যাম্পাসে গিয়ে সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত ও রক্তাক্ত করার ঘটনা ঘটেছে বুয়েটে। রক্তাক্ত অবস্থায় আবার পরীক্ষার আগে ক্যাম্পাস ছাড়া করার ঘটনাও ঘটেছে সংশ্নিষ্ট ছাত্রকে। হল পলিটিক্সের দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষ গ্রুপের এমনকি সাধারণ ছাত্রদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হয়েছে। আর সবই ঘটছে হল প্রশাসনের সামনে। অথচ অপকর্মে জড়িতেেদর বিরুদ্ধে কখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো আহত, রক্তাক্ত শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে শুনিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীকে মেরে কান ফাটিয়ে দেওয়া, ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি করা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলাসহ বুয়েট ক্যাম্পাসে নানা অপকর্ম অহরহ ঘটেছে। তুচ্ছ বিষয়ের জের ধরে বিভিন্ন পন্থায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এসব হামলার বিচার না হওয়ার কারণেই মূলত বার বার এ রকম ঘটনা ঘটছে।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনার ধারাবাহিকতারই ফল বলে অভিযোগ করেন তার সহপাঠীরা। তারা বলছেন, বুয়েটে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়তই এ রকম ঘটনা ঘটছে। পার্থক্য শুধু এখানেই যে, এবার একজন মারা গেছে, অন্যসময় তা হয়নি। মূলত বিচার না হওয়ার কারণে বারবার এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। গত ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জের ধরেই শিবির সন্দেহে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে জানা যায়।

নির্মম নির্যাতনের কিছু ঘটনা :তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অভিজিৎ করের। এতে তার একটি কানের শ্রবণশক্তি চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়টি বুয়েটে ওপেন সিক্রেট। বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অভিজিৎ কর গত ৩০ জুন নিজের ফেসবুক ওয়ালে তার ওপর নির্যাতনের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন। ওই সময় তার ওই স্ট্যাটাসটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সেসময় তাকে মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।

তার বর্ণনা অনুযায়ী, ২৭ জুন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহসানউল্লাহ হলের ২০৫ নম্বর রুমে তাকেসহ প্রথমবর্ষের বেশ কয়েকজনকে ডেকে আনা হয়। তারপর এক এক করে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাদের মারধর করা হয়। এর মধ্যে দাড়ি রাখার জন্য একজনকে কষে থাপ্পড় মারা হয়। জ্যেষ্ঠ ছাত্রকে সালাম না দেওয়ার কারণে আরেকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর অভিজিৎ করকে চুল লম্বা রাখার কারণে থাপ্পড় দিয়ে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তাকে মারধরও করা হয়।

এ বিষয়ে অভিজিৎ বলেন, 'এ ঘটনার পর হলের শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর এদিকে আমার কানের মধ্যে সবসময় শোঁ শোঁ আওয়াজ হচ্ছে। কী অপরাধ আমার, আমি প্রথম বর্ষের, এটাই কি আমার অপরাধ?'

এর আগে ২০১৭ সালে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাফি নামে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানা গেছে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ক্যাম্পাসছাড়া করা হয়। এমনকি ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায়ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি। পরে তিনি বুয়েট ছেড়ে বরিশালের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। একইভাবে গত বছর রায়হান নাফিস নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়।

২২ মে রশীদ হলের সুমন খান নামের এক ছাত্রের কাছে টাকা ধার চেয়ে না পেয়ে তাকে উল্টো ঝুলিয়ে নাকে গরম পানি ঢালা হয় বলে ওই হলের ছাত্ররা জানান। এতে সুমনের নাসিকা, স্নায়ুতন্ত্র ও চোখের গুরুতর ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে গত ১৬ই ডিসেম্বর বুয়েটে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা মারধরের শিকার হন তিন সাংবাদিক। ওই ঘটনাও ওই শেরেবাংলা হলেই ঘটেছিল। ভুক্তভোগী তিন সাংবাদিক হলেন দৈনিক জনকণ্ঠের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার মুনতাসির জিহাদ, কালের কণ্ঠের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মেহেদী হাসান ও সারাবাংলার বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার কবির কানন।

তাদের আটকে মারধর করেন বুয়েট শেরেবাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক আসিফ রায়হান মিনার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাবেক সম্পাদক এসএম মাহমুদ সেতু, সাবেক যুগ্মসম্পাদক নাফিউল আলম ফুজি, সাবেক প্রচার সম্পাদক নিলাদ্রি নিলয় দাস, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজিদ মাহমুদ অয়ন, সাবেক সহসভাপতি সন্টুর রহমান, মেকানিক্যাল বিভাগের অর্ণব চক্রবর্তী সৌমিক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাউফুন রাজন ঝলক, মেকানিক্যাল বিভাগের মিনহাজুল ইসলাম, নেভাল আর্কিটেকচার বিভাগের মেহেদী হাসান, তড়িৎ কৌশল বিভাগের ফারহান জাওয়াদ। বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার জামী-উস সানী ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের নির্দেশে এমন হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর রাত ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এসে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান নেতারা। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা।

এ বিষয়ে হামলার শিকার কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মেহেদী হাসান বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধরে নিয়ে গেছে- এমন তথ্য পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। ঘটনাটির বিষয়ে একেকজন একেক রকম তথ্য দিচ্ছিল। হলের ভেতর প্রবেশ করার পরে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাংবাদিক পরিচয় পেয়েও আমাদের মারধর করে।'

সোহরাওয়ার্দী হলের কয়েকজন ছাত্র জানান, কেবল রাজনৈতিক কারণে নয়, বিচার সালিশের নামেও অনেককে মারধর করা হয়। সাধারণ কোনো ছাত্র হলের অন্য কোনো ছাত্রের নামে কোনো অভিযোগ করলে তাকে ডাকা হয় সংশ্নিষ্ট হলের টর্চার সেল হিসেবে চিহ্নিত রুমগুলোতে। সেখানে কথাবার্তায় সমাধান না হলে, অথবা বিচার কারও মনঃপূত না হলে ভাগ্যে জুটত বেদম মারধর। ক্রিকেট স্টাম্প ও লাঠি দিয়ে পেটানো হতো। এমনই এক ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী হলের তড়িৎ কৌশল বিভাগের ছাত্র রুম্মান রশীদের ডান হাত পিটিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।

তবে আববার ফাহাদ খুনের ঘটনার পর শেরেবাংলা হল ছেড়ে পালিয়েছেন ছাত্রলীগের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী। সাধারণ ছাত্রদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। গেস্টরুমসহ জমজমাট শেরেবাংলা হলে গতকাল রাতে এখন সুনসান নীরবতা বিরাজ করতে দেখা গেছে। প্রতিদিন যেখানে সন্ধ্যার পর নেতাকর্মীদের আড্ডা, বিচার-সালিশ ও বহুজনের আনাগোনা ছিল, গতকাল সেখানে কাউকেই পাওয়া যায়নি। পালিয়েছে বিভিন্ন সময় সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্তরাও।

দিনভর বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের :এদিকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোমবার দিনভর বিক্ষোভ করেন শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে বুয়েটের অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। এদের মধ্যে সহপাঠীর মৃত্যুতে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বুয়েটের শেরেবাংলা হলের পুরোটাতেই বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে শেরেবাংলা হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাফর ইকবালের কাছে হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখতে চান। এ সময় প্রাধ্যক্ষ ফুটেজ দেখাতে গড়িমসি করলে কান্নায় ভেঙে পড়েন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা বলেন, 'আপনার ছেলে মারা গেলে তখন আপনি কী করতেন? স্যার, আমাদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই আপনাদের কাছে?'

হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ না দেখা পর্যন্ত, ওই সব হত্যাকারীকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত কোথাও না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে প্রয়োজনে অনশন কর্মসূচি পালন করার কথাও জানিয়েছেন তারা।

এদিকে এমন নির্মম ও হৃদয়বিদারক একটি হত্যাকাণ্ডের পর এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেননি। এ ছাড়া মুঠোফোনে কল দিলেও কল ধরছেন না তিনি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে উপাচার্যকে মুঠোফোনে কল দেন প্রাধ্যক্ষ। তখন উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) কল রিসিভ করে জানান, উপাচার্য অসুস্থ। তিনি ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না।

কাঁদলেন, কাঁদালেন আবরারের বাবা ও চাচা :বুয়েট ক্যাম্পাসে এসে অঝোরে কেঁদেছেন নিহত আবরার ফাহাদের বাবা ও চাচা। তাদের কান্নায় আশপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। তাদের সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন আবরারের সহপাঠী ও হলের শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শেরেবাংলা হলে এসে পৌঁছান বাবা বরকতুল্লাহ ও চাচা জহুরুল ইসলাম। সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে সকালে কুষ্টিয়ার নিজ বাড়ি থেকে রওনা দেন তারা। এ সময় চাচা জহুরুল ইসলাম চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে পুলিশের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে আবরারের চাচা বলেন, 'আপনারা সত্য কথা লিখলে এবং বললে আবরার সঠিক বিচার পাবে।' এরপর আবরারের বাবা ও চাচা হল প্রাধ্যক্ষের রুমে যান, তার সঙ্গে আলোচনা করেন।

এদিকে, বুয়েট শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, প্রগতিশীল ছাত্রজোট, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ। একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে যায়। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে অপরাধীদের শাস্তি দাবি জানায় প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

https://samakal.com/bangladesh/article/1910591/