৪ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, ১১:২৯

সামিটের এলএনজি টার্মিনাল যন্ত্রপাতির শুল্ক পরিশোধ করবে সরকার

সামিট এলএনজি টার্মিনালের জন্য আমদানিকৃত যন্ত্রপাতির বিপরীতে শুল্ক পরিশোধে টাকা বরাদ্দের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে অর্থ সচিব বরাবর গত বুধবার পাঠানো এক চিঠিতে এ অনুরোধ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ কক্সবাজারের মহেশখালিতে ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিলে ‘সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি লিমিটেডের সাথে একটি ‘ইমপিলিমেনটেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ) ও ‘টার্মিনাল ইউজ অ্যাগ্রিমেন্ট (টিইউএ) স্বাক্ষরিত হয়।

এই চুক্তির (আইএ) ধারা ১৩ এর আলোকে সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি সব ধরনের ভ্যাট, ট্যাক্স, শুল্ক ও সিভি হতে অব্যাহতি পাবে। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০১৭ সালেল ২৮ নভেম্বর একটি এসআরো জারি করে। এই এসআরোর ‘ছ’ ধারায় বলা হয়েছে,‘ পারমানেন্ট ইমপোর্ট ক্যাটাগরিভুক্ত আমদানিকৃত পণ্যগুলোর ওপর প্রযোজ্য শুল্কের পরিমাণ প্রাক্কলন করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক আমদানি পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে অর্থ বিভাগ হতে বরাদ্দ গ্রহণ করে পরিশোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ’

বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে,‘ এমতাবস্থায়, সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্য মূল্যের ওপর আদায়যোগ্য শুল্ক-করাদি পরিশোধের লক্ষ্যে কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রাম কর্তৃক জারিকৃত ১০টি দাবিনামার অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এই অর্থের পরিমাণ ৬১ লাখ ২৫ হাজার ৩৬১ টাকা।
এই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়ার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে অর্থ বিভাগের সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, সামিটের সাথে পেট্রোবাংলা এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছে, এই টার্মিনাল নির্মাণের জন্য যে সব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে তার সব শুল্ক-কর সরকার পরিশোধ করবে। এনবিআর থেকে যে এসআরো জারি করা হয়, তাতেও উল্লেখ করা হয়েছে, আমদানি করার ছয় মাসের মধ্যে যাবতীয় শুল্ক অর্থ বিভাগ সংগ্রহ করবে এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তা পরিশোধের ব্যবস্থা নেবে। এ জন্য আমরা অর্থ বিভাগের কাছে সামিটের এলএনজি টার্মিনালের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে যে সব যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়েছে তার শুল্ক বাবদ অর্থ দ্রুত আমাদের দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। যাতে আমরা এই অর্থ এনবিআরকে পরিশোধ করতে পারি। অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খুব দ্রুত এই পরিমাণ অর্থ জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে প্রদান করা হবে।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/445334/