স্থান সংকুলান না হওয়ায় রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা চলছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের। ছবি: যুগান্তর
৩ আগস্ট ২০১৯, শনিবার, ৬:১৭

হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর ঢল : সিট-কিট সংকট চরমে

২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৬৮৭ এ পর্যন্ত ২১,২৩৫ : আরও একজনের মৃত্যু * ঈদে অসংখ্য মানুষ গ্রামে যাবেন, তাই আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা

থামছে না ডেঙ্গু রোগীর ঢল। প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ‘তিল ধারণের ঠাঁই নেই’। প্রকট আকার ধারণ করেছে শয্যা (সিট) সংকট। শয্যা বাড়িয়ে পৃথক সেল করেও পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না।

সিট না পেয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটছেন রোগীরা। হাতে অতিরিক্ত টাকা নিয়েও বিত্তশালীরা তারকাবহুল হাসপাতাগুলোতে সিট পাচ্ছেন না। সেই সঙ্গে কোনো কোনো হাসাপাতালে আছে স্যালাইনসহ ডেঙ্গু পরীক্ষার সরঞ্জাম (কিট ও রি-এজেন্ট) স্বল্পতা। অনেক জেলাতে কিট না থাকায় রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের বারান্দায়ও রোগীদের ঠাঁই মিলছে না। সরেজমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, নতুন ভবনের ৫ থেকে ৮ তলা পর্যন্ত মেডিসিন বিভাগের সব ওয়ার্ড, ওয়ার্ডের সামনের ফাঁকা জায়গা, এমনকি লিফটের সামনে, সিঁড়ির উপরে ও নিচেও রোগীর গাদাগাদি। চিকিৎসাধীন কয়েকজন রোগী যুগান্তরকে জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হলেও পরীক্ষা করাতে হচ্ছে বাইরে থেকে। এমনকি ওষুধ ও স্যালাইনও মিলছে না হাসপাতালে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৬৮৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৯২ জনই রাজধানীতে। সব মিলিয়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ২৩৫ জন।

বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৫১৩ জনে। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হলেও বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়ে গেছে। শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই এ রোগে ১০ জনের মৃত্যু ঘটেছে।

আইইডিসিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ পর্যন্ত সেখানে ২০ জন মৃত ব্যক্তির নমুনা এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, রাজধানীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাইরেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলোতে ৪ হাজার ১৯০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, আমরা চাই ডেঙ্গু নির্মূল হোক। আমরা আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য মহামারী শব্দটি ব্যবহার করব না। চিকিৎসকরা চিকিৎসা করছেন। কিন্তু সেখানেও কিছু গাফিলতি আছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর চিকিৎসকদের যে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তা ঢাকাকেন্দ্রিক।

কিন্তু ডেঙ্গু রোগটি সারা দেশে ছড়িয়েছে। এখন স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রথম কাজ হবে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসকদের ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন করা। রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, ঈদের সময় অসংখ্য মানুষ বাড়িতে যাবেন। তাদের সঙ্গেও কিন্তু ডেঙ্গু সারা দেশে ছড়াবে।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালের ১ম ও ২য় তলায় ১, ৩, ৪ ও ৭নং ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হলেও ক্রমাগত রোগীর সংখ্যা বাড়ায় এখন ৬ ও ১১নং ওয়ার্ডেও এসব রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এসব ওয়ার্ডের মেঝেতে এমনকি বারান্দায় অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।

এখানে চিকিৎসাধীন রোগীরা জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশ ভালো চিকিৎসা দিচ্ছে, কিন্তু পরীক্ষা করিয়ে আনতে হচ্ছে বাইরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত শত শত ক্রন্দনরত শিশুকে দেখা গেছে। কোনো কোনো শিশু জ্বরে কাতর হয়ে পড়েছে। জরুরি বিভাগের সামনে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পরও চিকিৎসকদের দেখা না পেয়ে অভিভাবকরা অস্থির হয়ে পড়ছেন।

অভিভাবকরা বলছেন, শুক্রবার হওয়ায় সব হাসপাতালেই চিকিৎসকের সংখ্যা কম। অনেক হাসপাতালে চিকিৎসক না পেয়ে তারা শিশু হাসপাতালে এসেছেন। কিন্তু শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। সেখানেও মাত্র দুই থেকে তিনজন চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় চিকিৎসকদের আসতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. একেএম জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, বৃহস্পতিবার রোগীর সংখ্যা কম ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে হঠাৎ করেই রোগী বেড়ে গেছে। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে এটা মোকাবেলা করছি।

মাতুয়াইল শিশ মাতৃ স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ডাক্তার এমএ মান্নান বলেন, চিকিৎসার জন্য সার্জারি বিভাগের ওয়ার্ডটি শুধু ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিছানা, খাট অন্য ওয়ার্ড থেকে নেয়া হচ্ছে।

ঢাকার বাইরের চিত্রও একই রকম। অনেক জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট না থাকায় রোগীদের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। কোথাও নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। শয্যা সংকট তো রয়েছেই। ডেঙ্গু চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা না থাকায় অনেক হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালম আজাদ যুগান্তরকে বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে কিট এবং রি-এজেন্ট সংকট থাকার কথা নয়। রাজধানীসহ জেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত কিট সরবরাহ করা হয়েছে। তবে জেলা পর্যায়ে কিট পাঠানো হয়েছে সিভিল সার্জন অফিসে।

সেখান থেকে হয় তো হাসপাতালগুলো এখনও কিট সংগ্রহ করেনি। তিনি বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী হাসপাতালগুলো যেন কিট, রি-এজেন্ট, ওষুধ কিনে নিতে পারে সে জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাই কিট বা ওষুধ নেই এসব বলে রোগী ফিরিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই।

ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতিতে মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ইনডোর স্টেডিয়াম কিংবা বনানীর আর্মি স্টেডিয়াম রোগী চিকিৎসা/ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নূরে আলম ডিউ।

তার ফেসবুক ওয়ালে তিনি বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর দুর্যোগকালীন সময় চলছে। এ সময়ে স্টেডিয়ামে তাঁবু গেড়ে, বেডের ব্যবস্থা করে, ল্যাব করে, টয়লেট ফেসিলিটিজ গড়ে ফিল্ড হাসপাতাল করে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যেতে পারে। এ ছাড়া তিনি ডেঙ্গু রোগী বহনে অ্যাম্বুুলেন্সের জন্য রাজপথে পৃথক লেন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

আরও একজনের মৃত্যু : ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মালিহা মাহফুজ (২৭) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন।

সারা দেশের পরিস্থিতি : যুগান্তর ব্যুরো, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে দেখা গেছে, সারা দেশে ডেঙ্গু রোগী আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এতে কোথাও কিটের আবার কোথাও সিটের অভাব দেখা দিয়েছে। কোথাও বা ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসাই হচ্ছে না।

যুগান্তরের যশোর ব্যুরো জানায়, জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৩৪ জন। প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। রোগ নির্ণয় উপকরণ সংকট ও দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরবরাহ নিশ্চিত ও বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের দাবি উঠেছে।

কিটের দাম তিন-চার গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিড়ম্বনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। ইবনে সিনা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, যশোরের ডেপুটি ম্যানেজার মফিজুর রহমান তারেক জানান, উচ্চমূল্যে কিট কিনে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। শহরের অনেক ক্লিনিক ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে।

নড়াইল প্রতিনিধি জানান, নড়াইলের তিনটি উপজেলায় ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ডেঙ্গু শনাক্তকরণে এসএনওয়ান, আইজিজি এবং আইজিএম- এ তিনটি টেস্টের কিট সরকারিভাবে বরাদ্দ না থাকায় স্থানীয়ভাবে ১০টি কিট সংগ্রহ করা হয়েছে।

নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুস সাকুর বলেন, ডেঙ্গু শনাক্তকরণে এসএনওয়ান, আইজিজি এবং আইজিএম- এ তিনটি টেস্টের কিট সরকারিভাবে বরাদ্দ না থাকায় স্থানীয়ভাবে ১০টি কিট সংগ্রহ করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানায়, ডেঙ্গুজ্বর শনাক্তকরণের কিট জেলা সদরসহ ১২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না থাকায় সঠিক জ্বর শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডেঙ্গুজ্বর শনাক্তকরণের জন্য ১২০টি কিট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, এই কিট দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রথম আটজন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এই কিট দেয়া হয়নি।

মেহেরপুর : ডেঙ্গু শনাক্তকরণে স্বাস্থ্য অধিদফতরে কিটের চাহিদা পাঠানো হলেও এখনও এসে পৌঁছেনি। শনিবার আসতে পারে বলে জানান সিভিল সার্জন শামীম আরা নাজনীন। বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ১৪৮ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসায় সেল সেপারেটর মেশিন নেই।

বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ এনএসওয়ান পরীক্ষার উপাদানের সংকট দেখা দিয়েছে। খুব শিগগির এটা পাওয়া যাবে বলা হলেও তা কবে পাওয়া যাবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেননি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো বাকির হোসেন। তিনি জানান, এন্টিজেন্টের সংকট এখন সর্বত্র।

রংপুর ব্যুরো জানায়, রংপুরে এডিস মশার বিস্তার হওয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ রমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণের কোনো ‘যন্ত্রপাতি ও কিট’ নেই। চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে অনুমাননির্ভর।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক চিকিৎসক দেবেন্দ্র নাথ সরকার জানান, রোগীদের বিশেষ চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে ডেঙ্গু শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সুলতান আহমেদ জানান, কিট ও যন্ত্রপাতি না থাকায় হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।

ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সরকারিভাবে বরাদ্দ না থাকায় নড়াইলের তিনটি উপজেলায় ৬শ’ কিট পাঠালেন সদর আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন জানিয়েছেন সেখানে রোগীদের সেবা দিতে ডাক্তাররা হিমশিম খাচ্ছেন।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. আবুল কাশেম জানান, জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানোর মতো কোনো টেকনোলজিস্ট নেই। পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল্লাহ মাফি জানান, সেখানে নেই ডেঙ্গু রোগীদের জন্য চিকিৎসক ও পরীক্ষার যন্ত্রপাতি। এ ছাড়া ফরিদপুরে ও বান্দরবানে রয়েছে শনাক্তকরণ কিটের সংকট।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/206242/