দেওয়ানগঞ্জের রেলওয়ে। ছবি: যুগান্তর
২৩ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ১:১৩

বন্যা পরিস্থিতি ও রেলওয়ের অবস্থা প্রসঙ্গে

দুটি বিষয়ে আমি এখানে আলোচনা করব, বন্যা পরিস্থিতি ও রেলওয়ের অবস্থা। প্রথমে বন্যা পরিস্থিতি। সারা উত্তর ও মধ্য বাংলাদেশে এখন বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বন্যার কবলে পড়েছে ২৮ জেলা। এই বন্যার সব থেকে বিপজ্জনক দিক হল, নদ-নদীতে রেকর্ড পরিমাণ পানির প্রবাহ।

বাহাদুরাবাদের কাছে যমুনা, নীলফামারীর কাছে তিস্তা, বান্দরবানের কাছে সাঙ্গু নদীর পানি যে পর্যায়ে উঠেছে, এটা আগে কোনো দিন দেখা যায়নি। কিন্তু শুধু এই তিন নদীই নয়, বন্যাকবলিত অঞ্চলে প্রতিটি নদীরই একই অবস্থা। এর ফলে সমগ্র উত্তর ও মধ্য বাংলাদেশ এখন বন্যার পানিতে ভাসছে। লাখ লাখ পানিবন্দি মানুষের জীবনে দুর্দশার শেষ নেই।

তাদের অনেকে আশ্রয় কেন্দ্র, বাঁধ বা অন্য কোনো জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে গবাদিপশু রক্ষা করাও এক বড় সমস্যা। নৌকায় চড়েও অনেকে দিনের পর দিন আছেন। এদের কারও পক্ষে গবাদিপশু রক্ষা করা সম্ভব নয়। কাজেই হাজার হাজার গরু-ছাগলের মৃত্যু হয়েছে।

শুধু গবাদিপশুই নয়, পুরো বাড়ি পানির তলায় ডুবে যাওয়ার ফলে লাখ লাখ মানুষ নিজেদের সামান্য সহায়-সম্পদ হারিয়ে বসেছেন। এ ধরনের বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়, মানুষের জীবনে যে ভয়াবহ দুরবস্থা দেখা দেয়, তার সবকিছুই আছে। খাদ্যাভাব থেকে নিয়ে বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধপত্রের অভাব প্রকট।

বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে আছে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা থেকে নিয়ে নেত্রকোনা, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান।

পানি যেভাবে দক্ষিণে নামছে তাতে ঢাকার ডেমরা, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর পানি বিপদসীমার কাছে রয়েছে। এছাড়া দু’একদিনের মধ্যেই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও শরীয়তপুরে বন্যার পানি পৌঁছে গিয়ে সেখানেও সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।

বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে প্রধান হল বন্যা। প্রায় প্রতি বছরই বাংলাদেশে বন্যা হয় এবং এর ফলে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তা পরিচিত। এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই। লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর ভেসে যায় ও ধসে পড়ে, মানুষ নানা জায়গায় আশ্রয় নেয়। তাদেরকে গবাদিপশু ফেলে আসতে হয়।

এর ফলে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির শেষ থাকে না। এরপর নিজেদের খাদ্য, পানি, ওষুধপত্রের অভাব প্রকটভাবে দেখা দেয়। এই চিত্র প্রতি বছরের। কিন্তু এভাবে বন্যা বাংলাদেশে একটি নিয়মিত ব্যাপার হলেও এর মোকাবেলার জন্য এখন কোনো সরকারি ব্যবস্থা নেই যা উল্লেখযোগ্য। সরকারের একটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আছে।

তার একজন মন্ত্রীও আছেন। কিন্তু বন্যার মতো সংকটজনক প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাদের ভূমিকা সামান্য, নেই বললেই চলে। বসে বসে জনগণের ট্যাক্সের টাকা খাওয়া ছাড়া এদের আর করার কিছুই নেই। কাজেই যে লাখ লাখ মানুষ প্রতি বছর বন্যাকবলিত হন, তাদের সাহায্যের ক্ষেত্রে এই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে না।

এবারও নেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ত্রাণ হিসেবে কিছু চাল বিতরণ করা হলেও অন্যান্য সুবিধার অভাবে দুর্যোগের শেষ নেই। এবারও এই অবস্থা সারা উত্তর ও মধ্য বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে এবং অতি শিগগিরই দক্ষিণের জেলাগুলোও বন্যার দ্বারা একইভাবে আক্রান্ত হবে।

বন্যার কারণে বন্যার পানি থাকাবস্থায় মানুষের দুর্দশার শেষ থাকে না। কিন্তু পানি নেমে গেলেই তাদের দুর্দশার শেষ হয় না। কারণ বন্যার ফলে তারা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তা সামান্য নয়। গবাদিপশুর কথা আগেই বলেছি। এছাড়াও বন্যা বাড়ির অনেক কিছুই ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

ঘরবাড়ি এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা মেরামত করাও গরিবদের ক্ষেত্রে হিমশিম খাওয়ার মতো ব্যাপার। কাজেই ত্রাণের প্রয়োজন শুধু বন্যার পানি থাকার সময়েই হয় না, এ প্রয়োজন একইভাবে থাকে পানি নেমে যাওয়ার পরও। কাজেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাজ শুধু বন্যার সময়েই নয়, এর পরবর্তী পর্যায়েও থাকার কথা।

কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের বিশেষ কোনো কাজ দেখা যায় না। বন্যা-পরবর্তী পর্যায়েও খাদ্য ও পানির দরকার হয়। যেহেতু বন্যার সময় অনেকে পেটের অসুখ থেকে নিয়ে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হন, সেজন্য চিকিৎসা সাহায্যের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরকারিভাবে এক্ষেত্রে যে নামমাত্র সাহায্য পাওয়া যায়, সেটা দিয়ে মানুষের সমস্যার সমাধান হয় না।

ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে বন্যার সময় দেখা যেত বেসরকারি নানা মহল ও প্রতিষ্ঠান থেকে বন্যার্তদের সাহায্যের উদ্যোগ নিতে। তারা বন্যার সময় রিলিফ কমিটি করতেন এবং তার জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতেন, টাকায় অথবা অন্য কোনো জিনিসে।

বাংলাদেশে সরকারি উদ্যোগের অবস্থা তো বলাই হয়েছে, এছাড়া বেসরকারি কোনো উদ্যোগ প্রায় নেই বললেই চলে। কোনো কোনো সময় দু’একটা উদ্যোগ দেখা গেলেও তার ক্ষেত্র এত ছোট যে এর দ্বারা পরিস্থিতির কোনো প্রকৃত মোকাবেলা হয় না।

এক সময় বাংলাদেশে বন্যা-সাইক্লোনের সময় বেসরকারি উদ্যোগকে আইনত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল! এ ধরনের ব্যাপার অন্য কোনো দেশে ঘটে বলে জানা নেই।

আসলে বাংলাদেশে এখন যে ধরনের বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তাতে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা দরকার এবং জরুরিভাবেই দরকার এ পরিস্থিতি মোকাবেলার। কিন্তু সরকারের মধ্যে এ নিয়ে কোনো উদ্বেগ ও প্রয়োজনবোধ নেই। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী লন্ডন গেছেন দীর্ঘ দুই সপ্তাহের জন্য।

সেখানে নাকি ইউরোপীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের এক সম্মেলন হবে! এই সম্মেলন ঢাকায় না ডেকে লন্ডনে কেন ডাকা হল তার কারণ জানা নেই। ভারত তার ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলন লন্ডনে করছে এবং নরেন্দ্র মোদি সেখানে এ কারণে আছেন এই অবস্থা চিন্তার বাইরে।

কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের সম্মেলন ডেকে প্রধানমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে তার দলবল নিয়ে লন্ডন গেছেন। তিনি সেখানে তার চোখের চিকিৎসা করাবেন। এ সবের মধ্যেই দেখা যায় যে, দেশে যত বড় দুর্যোগই দেখা দিক, তা মোকাবেলার কোনো দায়দায়িত্ব সরকারের নেই। নামমাত্র কিছু কাজকর্ম দেখিয়েই এক্ষেত্রে তারা নিজেদের কাজ শেষ করেন। বর্তমানে দেশে যে বন্যা পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, এক্ষেত্রেও এদিক দিয়ে কোনো ব্যতিক্রম লক্ষণীয় নয়।

২.

২০ জুলাই ‘যুগান্তরে’ ঝুঁকিপূর্ণ রেলওয়ে লেভেল ক্রসিংয়ের ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এতে প্রথমেই বলা হয়েছে, ‘‘সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একটি অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে সোমবার ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে থাকা ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সেখানে ছিল না কোনো ‘গেট বেরিয়ার’ (লোহার বার) বা ‘গেটকিপার’ (প্রহরী)।

এমন অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং শুধু সিরাজগঞ্জেই নয়, প্রায় সারা দেশের রেলপথেই বিদ্যমান। কারণ বৈধ ও অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের ৮১ শতাংশের বেশি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আর এসব লেভেল ক্রসিং দিয়েই প্রতিদিন পার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন রুটের ট্রেন।

স্বাভাবিক কারণে প্রায় সময়েই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। অকালে ঝরে পড়ছে অসংখ্য প্রাণ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ রেলপথ।’’

সারা দেশে লেভেল ক্রসিংয়ের ওপর এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ২৪৯৭। বৈধ ১৪১২, অবৈধ ১০৮৫। গেটকিরার নেই ৮১ শতাংশ ক্রসিংয়ে। ১০ বছরে ৩৯১০টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩২২, আহত ১৮৪০ জন। এটা যে রেলপথে এক মহাবিপজ্জনক অবস্থা এতে সন্দেহ নেই।

এর থেকে মনে করার কারণ নেই যে, রেলওয়েতে কোনো দায়িত্বশীল প্রশাসন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক আছে। তা যদি থাকত তাহলে রেলপথে শুধু বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে এসব দুর্ঘটনা হতো না এবং অবৈধ লেভেল ক্রসিং বলে কোনো কিছুর অস্তিত্বও থাকত না।

এর থেকেই বোঝা যায় রেলওয়েতে নিয়মিত তদারকি তো দূরের কথা, দায়িত্বহীনতা ও উপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই নেই।

সারা দেশে ২৪৯৭টি লেভেল ক্রসিং আছে, যার মধ্যে ১০৮৫টি অবৈধ। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক লেভেল ক্রসিং অবৈধ। এই অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলো তৈরি করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকরা, যাদের অবস্থান সরকারি ক্ষমতার কাছাকাছি। এদের সবাই কোনো না কোনোভাবে সরকার ও সরকারি লোকদের সঙ্গে সম্পর্কিত।

কাজেই তাদের গায়ে হাত দেয়ার কেউ নেই। কোনো দেশে রেলওয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ পথে যে এভাবে অবৈধ লেভেল ক্রসিং থাকতে পারে এটা চিন্তার বাইরে। অথচ বাংলাদেশে এটাই দেখা যাচ্ছে।

কোনো তদারকির অভাবে এই লেভেল ক্রসিংগুলো গড়ে উঠেছে এবং যারা এ কাজ করছে তাদেরকে চিহ্নিত করা ও শাস্তি দেয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। তারা সব নিয়মকানুন ও আইনের ঊর্ধ্বে!

শুধু তাই নয়, তথাকথিত বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের একটা হিসাব রেল কর্তৃপক্ষের কাছে থাকলেও এগুলোর মধ্যে বহু লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো বেরিয়ার ও গেটকিপার নেই। এর কৈফিয়ত রেল কর্তৃপক্ষ কিভাবে দিতে পারে? সমগ্র রেল ব্যবস্থায় এ পরিস্থিতি যে কত বেশি বিপজ্জনক এটা বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন হয় না।

এখানে লক্ষণীয় ব্যাপার এই যে, লেভেল ক্রসিংয়ের এই অবস্থা এবং এ অবস্থার জন্য অসংখ্য লোকের অকাল মৃত্যু সত্ত্বেও কোনো রেল কর্মচারীর কাছে আজ পর্যন্ত কোনো কৈফিয়ত সরকার থেকে চাওয়া হয়েছে এবং কারও শাস্তি হয়েছে এমন কোনো উদাহরণ নেই।

এভাবে হাজার হাজার ট্রেন দুর্ঘটনা সত্ত্বেও রেল কর্তৃপক্ষ যেভাবে নিরাপদে নিজেদের দায়িত্বহীনতা চালিয়ে যাচ্ছে এটা প্রকৃতপক্ষে বিস্ময়কর। সরকারের যে কোনো সুশৃঙ্খল ও দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা নেই, এর থেকে তার বড় প্রমাণ আর কী হতে পারে?

কিন্তু শুধু লেভেল ক্রসিংগুলোরই এই অবস্থাই নয়, রেলওয়ে সেতুগুলোর অবস্থাও যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। কিছুদিন আগে এর ওপরও একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় আছে। তার একজন মন্ত্রীও আছেন।

কিন্তু লেভেল ক্রসিংয়ের ক্ষেত্রে যেমন, সেতুর ক্ষেত্রেও তেমনি, তদারকি বলে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে কিছু তথ্য থাকলেও এই সেতুগুলো ঠিকমতো মেরামতির কোনো তাগিদ ও ব্যবস্থা নেই।

কাজেই বড় রকম ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। রেলওয়ের প্রয়োজনীয় তদারকির পরিবর্তে চুরি-দুর্নীতির কথাই বেশি শোনা যায়। চুরি-দুর্নীতি ও এ ধরনের দায়িত্বহীনতা যে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত এতে সন্দেহ কী?

কিন্তু শুধু বন্যা ত্রাণ ক্ষেত্রে এবং রেলওয়ের ব্যবস্থাপনার যে বিশৃঙ্খল অবস্থা ও জনস্বার্থের প্রতি দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতা বাংলাদেশে দেখা যায় তাই নয়, এ দুই ক্ষেত্র অন্যান্য ক্ষেত্রের সামান্য অংশমাত্র। সারা দেশে এখন যে সুশৃঙ্খল প্রশাসন বলে কিছু নেই, সুশাসন বলে কিছূ নেই, তার পরিচয় সর্বত্র।

এই বিরাজমান পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশের জনগণ বসবাস করছেন। তাদের অতিষ্ঠ জীবন তারা এভাবেই অতিবাহিত করছেন। তাদের ভোটের অধিকার যেভাবে হরণ করে সরকার মহানিশ্চিন্তে আছে, চারদিকে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য বিরাজ করলেও সরকারের অবস্থা দেখে মনে হয় তারা বেশ নিরাপদ ও নিশ্চিন্তেই আছে।

২১.০৭.২০১৯

বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/202197