১৭ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ১:০২

কাঁচামরিচের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি

৪ দিনে দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১৪০ টাকা

নরসিংদীর বিভিন্ন বাজারে কাঁচামরিচের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র ৪দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি কাঁচামরিচের মূল্য বেড়েছে ১৪০ টাকা। বাজারে এখন ৬০ টাকা কেজি দরের কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২শ’ টাকা কেজি দরে। ৪/৫ দিন আগে যারা কাঁচামরিচ কিনেছেন ৬০ টাকায়, তারা বাজারে এসে কাঁচামরিচের দাম শুনে ভ্যাবাচাকা খেয়ে যাচ্ছে।

হঠাৎ কাঁচামরিচের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জিজ্ঞাসা করলে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আড়তেই কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। তারা আড়ত থেকে বাড়তি ধরে কিনে এনে স্বল্প লাভে বিক্রি করছেন। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন বৃষ্টির কারণে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারে কাঁচামরিচ সরবরাহ কমে গেছে। সেজন্য মরিচের দাম বেড়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে মরিচ উৎপাদন কমে গেছে কথা সত্য কিন্তু সেই অজুহাতে মাত্র ৪ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১৪০ টাকা মূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে মুনাফা খোরদের কালো হাত। বৃষ্টির অজুহাতে মুনাফাখোর চক্র কাঁচামরিচের মূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

বেসরকারি হিসাব মতে দেশে ৩ কোটি ২৮ লাখ পরিবারে বছরে কমবেশি ৫ লাখ মেট্রিক টন কাঁচামরিচের চাহিদা রয়েছে। ৯০ দশকের উৎপাদনে রেকর্ড অনুযায়ী দেশের উৎপাদিত হয় ২ লক্ষাধিক মেট্রিক টন কাঁচামরিচ। ঘাটতি থাকে ৩ লাখ মেট্রিক টন। এই তিন লাখ মেট্রিকটন ঘাটতির কমবেশি এক ভাগ পূরণ করা হয় বাড়ির ছাদ বাগান ও পারিবারিক বাগানে বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষ আবাদের মাধ্যমে। বাকি কাঁচামরিচের ঘাটতি পূরণ হয় ভারত থেকে বৈধ অবৈধ পথে আমদানির মাধ্যমে।

দেশের উৎপাদন ঘাটতি সুযোগে এক শ্রেণীর আমদানিকারক এবং মুনাফাখোর চক্র প্রতিবছরই নানা অজুহাতে কাঁচামরিচের মূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। একইভাবে এ বছরও কিছু কিছু স্থানে বন্যা ও বৃষ্টিপাতের অজুহাতে হঠাৎ করে কেজি প্রতি কাঁচামরিচের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে ১৪০ টাকা। একইভাবে অত্যাবশ্যকীয় মসলা, পেঁয়াজ রসুন, শুকনা মরিচ, এলাচ, গোলমরিচ, আদাসহ বিভিন্ন মসলার দাম অস্বাভাবিক ভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।

https://www.dailyinqilab.com/article/220783