২৯ ডিসেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার, ১১:৫৬

বিজ্ঞাপনে কোপ সংবাদপত্রশিল্প সংকটে

বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে মোড়ানো ‘ই-টেন্ডারিং’ আর ‘ই-জিপি’র প্রভাবে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশের সংবাদপত্রশিল্প। নিয়মনীতি না মেনে সরকারি সংস্থাগুলো দরপত্র আহ্বান ও ক্রয় বিজ্ঞপ্তির বিজ্ঞাপনগুলো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেই দায় সারছে।
সংবাদপত্রের জন্য ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর ‘ই-টেন্ডার নোটিশ’ দেওয়ায় জনগণের তথ্য জানার অধিকার সংকুচিত হচ্ছে। আর আয়ের সবচেয়ে বড় খাতটি এভাবে সংকুচিত হওয়ায় অস্তিত্ব হারানোর শঙ্কায় ভুগছে সংবাদপত্রগুলো। আয়ের বড় উৎস হারাতে বসা বেশির ভাগ সংবাদপত্রই কর্মীদের ওয়েজবোর্ড মেনে বেতন দিতে পারছে না। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও নিয়মিত বেতন পাওয়া এখন অনেক সংবাদপত্রের কর্মীদের কাছেই অলীক স্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে সরকার সংবাদপত্রের কর্মীদের বাস্তব চাহিদা অনুধাবন করে নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করতে যাচ্ছে, কিন্তু গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে খ্যাত সংবাদপত্রের রুগ্ণ দশা দূর করার কোনো উদ্যোগ নেই। এতে চরম আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত সম্পাদক, সংবাদকর্মী ও গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। তাঁদের আশঙ্কা, আগের মতো দরপত্র আহ্বান ও ক্রয় বিজ্ঞপ্তিগুলোর পূর্ণ বিজ্ঞাপন সংবাদপত্রে প্রচার ও প্রকাশের উদ্যোগ না নিলে দেশের সংবাদপত্র শিল্পের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।
২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভা বৈঠকে দেশের সরকারি সব ক্রয়ে ই-টেন্ডার পদ্ধতি অনুসরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই বছরের ৬ আগস্ট ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স সভায় চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব সরকারি ক্রয় ই-জিপির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী জানান, গত ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৫১টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা ই-জিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ই-জিপি ও ই-টেন্ডার বাস্তবায়নের কাজ করতে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) গঠন করা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি ই-জিপি ও ই-টেন্ডারিং হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ পদ্ধতিতে সরকারের মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থাগুলো যেকোনো কাজের দরপত্র ও ক্রয় বিজ্ঞপ্তির বিজ্ঞাপনগুলো নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। দুটি সংবাদপত্রে ছোট একটি বিজ্ঞাপনে ই-টেন্ডার নোটিশ নামে একটি লিংক দিয়ে বলা হয় যে বিজ্ঞাপনটি ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। এতে সংবাদপত্রগুলো আগের চেয়ে একটি সুনির্দিষ্ট দরপত্রের পূর্ণ বিজ্ঞাপনের তুলনায় যে ছোট বিজ্ঞাপন পায়, তার আকার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০ ভাগের এক ভাগের সমান। সাধারণত একটি দরপত্রের বিজ্ঞাপনে ওই পণ্য বা সেবার ২০ থেকে ২৫টি বিবরণসহ দরপত্র জমা দেওয়ার নিয়মকানুন ও সময়সীমা, দরপত্র খোলাসহ নানা বিষয় উল্লেখ থাকে। এখন সংবাদপত্রে দেওয়া বিজ্ঞাপনে এসব কিছুই থাকে না। ফলে ২০১৩ সালে অষ্টম ওয়েজবোর্ড ঘোষণাকালে সরকারি বিজ্ঞাপনের বিল রেট দ্বিগুণ করা হলেও বিজ্ঞাপনের আকার কমে যাওয়ায় এ খাত থেকে সংবাদপত্রের আয় চার ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। একই সঙ্গে সংবাদপত্রে দেওয়া ই-টেন্ডারিং ও ই-জিপির নোটিশে ওই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কোনো তথ্য না থাকায় সাধারণ মানুষও জানতে পারে না সরকার কোন কাজে কোন ধরনের পণ্য ও সেবা কিনছে এবং তা মানুষের কতটা কাজে লাগবে।
অথচ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৮ অনুযায়ী খোলা দরপত্র পদ্ধতিতে (ওটিএম) যেকোনো পরিমাণ পণ্য বা সেবা কিনতে হলে কমপক্ষে দুটি জাতীয় দৈনিকের সব সংস্করণে বিস্তারিত তথ্যসংবলিত বিজ্ঞাপন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে (এলটিএম) ১৫ লাখ টাকার অধিক মূল্যের কোনো পণ্য ও সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে বিজ্ঞাপন দেওয়া বাধ্যতামূলক।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা-২০০৮’-এ বলা হয়েছে, ক্রয় বিজ্ঞপ্তি, টেন্ডার, দরপত্র, আইনগত নোটিশ, সাধারণ গণবিজ্ঞপ্তি, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং বিভিন্ন দ্রব্য বা সেবামূলক কাজের বিক্রয়োন্নয়নকে গণখাতের বিজ্ঞাপন হিসেবে চিহ্নিত হবে।
নীতিমালার ২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘ক্রয় বিজ্ঞপ্তি/টেন্ডার/দরপত্র ইত্যাদির জন্য বিজ্ঞাপন কমপক্ষে দুটি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে (একটি বাংলা এবং একটি ইংরেজি) প্রকাশ করতে হবে (কার্যদিবস হলে ভালো)। বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রের একাধিক সংস্করণ প্রকাশিত হলে বিজ্ঞপ্তিটি সকল (যেমন-নগর/মূল/প্রথম/দ্বিতীয় ইত্যাদি) সংস্করণেই প্রকাশ করতে হবে। ’
সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, পরিদপ্তর, প্রকল্প, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সরকার নিয়ন্ত্রিত পাবলিক লিমিটেড কম্পানি এবং জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য স্থানীয় প্রশাসন এই নীতিমালার আওতাভুক্ত হবে বলে ২০০৮ সালের ২৮ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, এসব দপ্তর, সংস্থা ও প্রকল্পগুলোকে গণখাতের ‘বিজ্ঞাপনদাতা’ বলে গণ্য করা হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার কালের কণ্ঠকে বলেন, আগে বছরে তাঁদের দুই কোটি টাকার দরপত্র ও ক্রয় বিজ্ঞপ্তির বিজ্ঞাপন সংবাদপত্রে দেওয়া হতো। এ বছরও দুই কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। ২০১৩ সালে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের বিল দ্বিগুণ করার পরও ই-টেন্ডারিংয়ের কারণে আকারে ছোট বিজ্ঞাপন দেওয়ায় এখন দুই কোটি টাকাও খরচ হয় না। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন বাবদ তাঁদের খরচ এখন এক কোটি ২০ লাখ টাকার মতো।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক (জনসংযোগ) সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ই-টেন্ডারের ফলে সংবাদপত্রে দেওয়া বিজ্ঞাপনের আকার কমে গেছে। দরপত্রের পূর্ণ বিজ্ঞাপনে ২০ থেকে ২৫টি শর্তের বর্ণনা থাকে, যা এখন সংবাদপত্রে দেওয়া বিজ্ঞাপনে দেওয়া হয় না। ফলে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন বাবদ খরচও কমছে। তবে বিজ্ঞাপনের বিল বাড়ায়, তা বিজ্ঞাপনের আকার অনুযায়ী কমেনি। তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন বাবদ খরচ ২০ শতাংশের মতো কমেছে।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তর দরপত্র আহ্বান ও ক্রয় বিজ্ঞপ্তির বিজ্ঞাপন বাবদ আগে সংবাদপত্রে কত টাকার বিজ্ঞাপন দিত, আর এখন কত টাকার দিচ্ছে, তার কেন্দ্রীয় কোনো হিসাব নেই। তবে ই-টেন্ডারিং ও ই-জিপির ফলে বিজ্ঞাপনের বিল দ্বিগুণ হওয়ার পরও উল্লিখিত দুটি প্রতিষ্ঠানের মতো সব প্রতিষ্ঠানেরই সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া বাবদ খরচ কমেছে। অর্থাৎ সব প্রতিষ্ঠান থেকেই সংবাদপত্রগুলো বিজ্ঞাপন বাবদ আগের চেয়ে কম রাজস্ব আয় করতে পারছে। অথচ সরকার ওয়েজবোর্ড ঘোষণাকালে বিজ্ঞাপনের বর্ধিত রেট পাওয়ার শর্ত হিসেবে ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের শর্ত আরোপ করছে। অষ্টম ওয়েজ বোর্ডে সংবাদপত্রের কর্মীদের বেতন গড়ে ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে বিজ্ঞাপনের বিল দ্বিগুণ করা হলেও বিজ্ঞাপন খাত থেকে আয় কমে যাওয়ায় অনেক সংবাদপত্র এখনো অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেনি।
এ অবস্থার মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। সংবাদপত্রের আয় বাড়ানোর উদ্যোগ না নিয়ে নতুন ওয়েজ বোর্ড দেওয়ার উদ্যোগে অনেক সংবাদপত্রকর্মী চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। তাঁরা বলছেন, সাংবাদিকদের বেতন বৃদ্ধি প্রয়োজন। একই সঙ্গে বর্ধিত বেতন-ভাতা দিয়েও যাতে সংবাদপত্র টিকে থাকতে পারে, সে উদ্যোগও নিতে হবে সরকারকে। অতীতে দেখা গেছে, নতুন ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করার সময় সংবাদপত্রগুলো কর্মী ছাঁটাই করে ব্যয় কমানোর চেষ্টা করে।
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার কালের কণ্ঠকে বলেন, টেন্ডার নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে ই-টেন্ডারিংয়ের দরকার আছে, কিন্তু বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলো সরকারি বিজ্ঞাপনের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। সরকার যেভাবে ই-টেন্ডারিং করতে গিয়ে সংবাদপত্রে ছোট করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, তাতে পত্রিকাগুলো টিকে থাকতে পারবে না। তাই সরকারের উচিত ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পাশাপাশি সংবাদপত্রে আগের মতোই পূর্ণ বিজ্ঞাপন প্রচার করে দরপত্র জমা দেওয়া, বাছাই করা ও কার্যাদেশ দেওয়ার কাজগুলো অনলাইননির্ভর করা। এতে সরকারের উদ্দেশ্যও সফল হবে, সংবাদপত্রও টিকে থাকবে।
প্রবীণ এই সাংবাদিক বলেন, সংবাদপত্রগুলোর বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে গেছে। এরই মধ্যে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হচ্ছে। তাতে সংবাদপত্রের কর্মীদের বেতন-ভাতা বাড়বে। সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের পথ সংকুচিত করে নবম ওয়েজ বোর্ড দেওয়া হলে তা বাস্তবায়নের ক্ষমতা বেশির ভাগ সংবাদপত্রেরই থাকবে না। পত্রিকাগুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তাই সংবাদপত্রের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সরকারের নীতি বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশের জন্য, সুশাসনের জন্য ই-টেন্ডারিং, ই-জিপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। কিন্তু এটি সংবাদপত্রশিল্পের জন্য মহাবিপর্যয় ডেকে আনছে। সরকারকে ই-টেন্ডারিং, ই-জিপির পাশাপাশি সংবাদপত্রশিল্পকেও রক্ষা করতে হবে।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ই-টেন্ডারিং ও ই-জিপির কারণে সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে সংবাদপত্রগুলোর আয় কমে যাচ্ছে। দৈনিক আমাদের অর্থনীতির বিজ্ঞাপন থেকে আয় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমে গেছে।
বিষয়টিকে বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জন্য খুবই সিরিয়াস ইস্যু উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবাদপত্রের মালিক, সাংবাদিক, কর্মচারীসহ সবাইকে বিষয়টি উপলব্ধি করে এ সমস্যা সমাধানে সরকারের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশে এখনো সংবাদপত্রের সার্কুলেশন (প্রচার সংখ্যা) বাড়ছে। আরো বেশ কিছু কাল সংবাদপত্রই বাংলাদেশের মানুষের তথ্য জানার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে টিকে থাকবে। তাই সরকার টেন্ডারের বিজ্ঞাপন এখন যেভাবে ওয়েবসাইটে দিয়ে পত্রিকায় অনেক ছোট করে নোটিশ দিচ্ছে, তাতে ওই বিজ্ঞাপন বা সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মানুষ পর্যাপ্ত তথ্য পাচ্ছে না। দেশের অধিক সংখ্যক মানুষের তথ্য জানার অধিকার বাস্তবায়নে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি সংবাদপত্রেও আগের মতো পূর্ণ বিজ্ঞাপন প্রচার করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
গোলাম রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশের অল্প কয়েকটি সংবাদপত্র ছাড়া বাকি সবই সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ওপর নির্ভরশীল। সরকার এখন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন কমালে এসব সংবাদপত্র টিকে থাকতে পারবে না। তা ছাড়া ই-টেন্ডার পদ্ধতিতে সংবাদপত্রে আগের মতো পূর্ণ বিজ্ঞাপন দিতে কোনো বাধা নেই। সরকার সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েও ই-টেন্ডারিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারে। না হলে সংবাদপত্রগুলো সংকটে পড়বে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদপত্রের নীতিনির্ধারকদের সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন তিনি।
ই-টেন্ডারিং ও ই-জিপির কারণে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন না দেওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘ই-টেন্ডারের বিরোধিতা করার কোনো সুযোগ নেই। একই সঙ্গে সংবাদপত্রের স্বার্থও সুরক্ষা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অংশীজনদের আস্থায় রেখেই বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’
http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2016/12/29/446303