১৪ নভেম্বর ২০১৫, শনিবার, ১১:২৭

সারাদেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা

আজ ১৪ নভেম্বর আইনÑশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব ফরহাদ মোল্লাকে ও গতকাল ১৩ নভেম্বর ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব আজিজুর রহমান, মহেষপুর পৌরসভা জামায়াতের আমীর মোঃ পলাশসহ ৭ জন নেতা-কর্মীকে এবং আজ ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরী ও চট্টগ্রাম জেলা থেকে ২৪জন নেতাÑকর্মীকে, মেহেরপুর জেলা থেকে ১০ জন্য কর্মী ও পটুয়াখালী জেলা শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহফুজুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে আজ ১৪ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “সরকার আইনÑশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নির্দোষ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের উপর চরম জুলুম করছে। তারা সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।

সরকারের গ্রেফতার অভিযানের ফলে সারা দেশে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক জেলায় বিরোধীদলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনের ভয়ে বাসা-বাড়ীতে থাকতে পারছেনা। এমনকি সাধারণ ধর্মপ্রাণ গৃহবধুরাও সরকারের গ্রেফতার ও জুলুম থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

উল্লেখ্য যে, গত ৫ নভেম্বর আশুলিয়ার ডিবি পুলিশ গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলামকে না পেয়ে তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে। কাউকে গ্রেফতার করার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোর্টে চালান দেয়ার আইন থাকলেও আজ পর্যন্ত তাকে কোর্টে হাজির না করে থানা হাজতে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তার কোন নিকট আত্মীয় তার সাথে দেখা করতে গেলে পুলিশ তার সাথে দেখা করতে দিচ্ছে না। গত ৫ নভেম্বর থেকে অদ্যবদি তিনি এক কাপড়ে থানা হাজতে অতিকষ্টে দিনযাপন করছেন। পুলিশের এই আচরণ শুধু নিন্দনীয়ই নয়, মানবাধিকারের লংঘনও বটে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি।

গ্রেফতার নির্যাতন চালিয়ে জনগণের উপর ¯ৈ^রশাসন দীর্ঘায়িত করা যায় না। জনগণের আন্দোলনের মুখে কোন ¯ৈ^রশাসকই টিকে থাকতে পারেনা।

তাই জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব ফরহাদ মোল্লা ও কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব আজিজুর রহমান এবং মহেষপুর পৌরসভা জামায়াতের আমীর জনাব মোঃ পলাশসহ সারা দেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি।”