২৪ নভেম্বর ২০১৭, শুক্রবার, ৩:৩৩

বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৬ নভেম্বর সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা

বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেশের মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগণের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের শামিল

আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে বিদ্যুতের মূল্য প্রতি ইউনিটের জন্য গড়ে ৩৫ পয়সা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ঘোষণার প্রতিবাদে এবং এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ২৪ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক। এ সিদ্ধান্ত দেশের মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগণের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের শামিল।

ভোক্তা জনগণের মতামত উপেক্ষা করে সরকার ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের মূল্য গড়ে ৩৫ পয়সা বা গড়ে শতকরা ৫.০৩ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করার যে ঘোষণা দিয়েছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বর্তমান সরকারের আমলে এ পর্যন্ত মোট ৮বার বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের দাম কমছে সেখানে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কোন যুক্তি নেই। মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে শোষণ করার জন্যই সরকার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সরকারের আয় বাড়বে ১৭০০ কোটি টাকা।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের তীব্র কষাঘাতে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগণের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠেছে। তার উপর আবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সরকার জনগণের উপর বোঝার উপর শাকের আটি চাপিয়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর ফলে নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও বাসা ভাড়া আরো বাড়বে এবং কৃষি ও শিল্প খাতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। ফলে দেশের উৎপাদন ব্যাহত হবে।

বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। কাজেই এ সরকার জনগণের স্বার্থ, সুবিধা, অসুবিধা ও সুখ-দু:খের কথা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে না। সরকারের লক্ষ্য জনগণকে শোষণ করে জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে শক্তির জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকা। এ কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকারের নিকট থেকে জনগণের কোন কল্যাণ আশা করা যায় না।

অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির এ গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবীতে আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আগামী ২৬ নভেম্বর রোববার সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা করছি।

ঘোষিত এ কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং দল-মত নির্বিশেষে দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।”