১১ মে ২০১৬, বুধবার, ১০:২৮

শহীদ নিজামীর গায়েবানা জানাযায় গ্রেফতার করে সরকারের ইসলাম বিরোধী চরিত্রই প্রকাশিত হয়েছে

চট্টগ্রামের প্যারেড ময়দানের আশে-পাশে কটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর গায়েবানা নামাজে জানাযায় আওয়ামী ছাত্রলীগের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা এবং রাজশাহীতে আয়োজিত গায়েবানা নামাজে জানাযার পর জামায়াতের ১২ জন নেতা-কর্মীকে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে গায়েবানা নামাজে জানাযার পর জামায়াতের ৮জন নেতা-কর্মীকে ও রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ডঃ আবুল হাশেমকে ১০ মে রাতে অন্যায়ভাবে পুলিশের গ্রেফতার করার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ আজ ১১ মে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর গায়েবানা নামাজে জানাযার পর জামায়াতের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করার মাধ্যমে সরকারের একদলীয় ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

চট্টগ্রামের প্যারেড ময়দানে প্রশাসনের অনুমতিক্রমেই গায়েবানা নামাজে জানাযার আয়োজন করা হয়। কিন্তু ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা প্যারেড মাঠের আশে-পাশে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। তবে গায়েবানা জানা যথারীতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গায়েবানা নামাজে জানাযায় হাজার হাজার মানুষ শরীক হন। ঢাকার বায়তুল মোকাররমে আয়োজিত গায়েবানা নামাজে জানাযা শেষে ছাত্রশিবিরের তিন কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রাজশাহীতে আয়োজিত গায়েবানা নামাজে জানাযা শেষে জামায়াতের ১২ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। গায়েবানা নামাজে জানাযার মত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের পর অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে সরকারের ইসলাম বিরোধী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

সরকার রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ডঃ আবুল হাশেমকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। এ সরকারের ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ডঃ আবুল হাশেমসহ সারাদেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”