২৭ মে ২০১৬, শুক্রবার, ৫:৪৮

জামায়াতকে জড়িয়ে মাহবুব-উল-আলম হানিফের বক্তব্য সর্বৈব মিথ্যাঃ আওয়ামী লীগই হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি করছে

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ আজ ২৭ মে সকালে কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের “জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) নয়, বাংলাদেশে গুপ্ত হত্যা চালাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। তারা প্রোটেকশনের জন্য আনসারুল্লাহ বাংলা টীম, হিজবুত তাহরীর, হরকাতুল জিহাদ- এ সমস্ত সংগঠনের নাম ব্যবহার করছে।” মর্মে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের আজ ২৭ মে প্রদত্ত এক বিবৃতে বলেন, “বাংলাদেশে সংঘটিত কোন গুপ্ত হত্যার সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যেমন কোন সম্পর্ক নেই, তেমনি আনসারুল্লাহ বাংলা টীম, হিজবুত তাহরীর, হরকাতুল জিহাদসহ এ ধরনের কোন সংগঠনের সাথেও জামায়াতের কোন সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই ওঠে না। জনাব মাহবুব-উল-আলম হানিফ জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে সাংবাদিকদের কাছে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সর্বৈব মিথ্যা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পন্থার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতিকে জামায়াত সব সময়ই ঘৃণা করে থাকে। দেশবাসী ভালভাবেই জানেন যে আওয়ামী লীগই হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি করছে।

তারা যে সমস্ত জঙ্গি সংগঠনের কথা বলেছেন ঐ সমস্ত সংগঠনের জন্ম দাতারা কে কার নিকট আত্মীয় তা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ জানে। সুতরাং উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে আর ক্লান্ত না হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানাবো।

নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার ঘাড়ে নিয়ে সত্যিকারের জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল একটি সরকার গঠনের লক্ষ্যে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থাই স্বৈরশাসন এবং গুম, খুন, হত্যা ও নির্যাতনের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্তি দিতে পারে।

আওয়ামী লীগ ও তার সরকারের যত তাড়াতাড়ি এ শুভ বুদ্ধির উদয় হবে জাতি তত তাড়াতাড়ি এ দুষ্ট ক্ষত, জুলুম ও বন্দি দশা থেকে মুক্তি পাবে। সুতরাং একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বার্থেই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি মাহবুব-উল-আলম হানিফের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”