৩ জুন ২০১৬, শুক্রবার, ৫:৪১

প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াত সম্পর্কে ভিত্তিহীন অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২রা জুন সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত গ্রেগ উইলককের বিদায়ী সাক্ষাতকালে “জামায়াতে ইসলামীর পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন নামে একাধিক দল বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর চেষ্টা করছে। এদের মূলে রয়েছে জামায়াত।” মর্মে যে ভিত্তিহীন অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ৩ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সর্বৈব মিথ্যা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বচ্ছ নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে সব সময়ই জামায়াত ঘৃণা করে থাকে। তাই জামায়াতে ইসলামীর পৃষ্ঠপোষকতায় একাধিক দলের বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর চেষ্টা করার প্রশ্নই আসে না।

বিদেশী নাগরিক, মসজিদের ইমাম, গীর্জার পাদ্রী ও মন্দিরের পুরোহিত হত্যা এবং সহিংসতার সাথে জামায়াতে ইসলামীর কোন সম্পর্ক নেই। প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ চশমা চোখে দিয়ে যদি নিজের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন যে ঐ সব হত্যাকান্ডের জন্য তার সরকারই দায়ী। জামায়াতে ইসলামীর সাথে ঐ সব হত্যাকান্ডের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যেই তিনি জামায়াতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন। এভাবে পুরনো ভাংগা ক্যাসেট বারবার বাজিয়ে সম্মানিত কূটনীতিকগণ ও দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে কোন লাভ হবে না। দেশী-বিদেশী সকলেই জানেন যে, জামায়াতে ইসলামী কখনো হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। বিদেশী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের ভিত্তিহীন বানোয়াট বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”