১৮ জুন ২০১৬, শনিবার, ৩:৪০

ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করা রহস্যজনক

মাদারীপুরের নাজিম উদ্দিন কলেজের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর উপর হামলার অভিযোগে হাতে নাতে ধরা পড়া গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করার ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ১৮ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “মাদারীপুরের নাজিম উদ্দিন কলেজের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর উপর হামলার অভিযোগে হাতে নাতে ধরা পড়া গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করার উদ্দেশ্য কি?

গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে গ্রেফতার করার পর তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তাকে তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করে দেশের জনগণ। তাকে গ্রেফতার করার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার নিকট থেকে তথ্য উদ্ধার করে তার সাথে থাকা অন্যদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা উচিত ছিল। আইন অনুযায়ী আদালত তাদের বিচার করে দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তি বিধান করবে এটাই ছিল দেশবাসীর প্রত্যাশা।

কিন্তু আইনের পথ উপেক্ষা করে তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে হাত কড়া পরা অবস্থায় হত্যা করার ঘটনায় জনগণের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে যে, প্রকৃত ঘটনা জনগণকে জানতে না দিয়ে ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যেই কি গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করা হলো? সে বেঁচে থাকলে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়ার আশংকায়ই কি তাকে গুলি করে হত্যা করা হলো? এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেশবাসী জানতে চায়। অভিজ্ঞ মহল মনে করে, গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে রহস্যজনকভাবে হত্যা করার ফলে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা পড়ে গেল এবং ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়া হল।

গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হাতকড়া পরা অবস্থায় গুলি করে হত্যা করার ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য দেশবাসীকে জানানোর জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”