২২ আগস্ট ২০১৬, সোমবার, ৬:৪৭

জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৩ আগষ্ট শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য কারাবন্দী জনাব মীর কাসেম আলী, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুস সুবহান, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং মীর কাসেম আলীর ছোট ছেলে ব্যারিষ্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানকে তার পরিবারের নিকট ফেরত দেওয়ার দাবিতে আগামীকাল ২৩ আগষ্ট মঙ্গলবার সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান এক বিবৃতি প্রদান করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূন্য করার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা মামলা দায়ের করে জামায়াতের ৪ জন শীর্ষ নেতাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। জনাব মীর কাসেম আলীসহ কারাবন্দী অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দকেও হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সেই সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত দেশের সর্বত্র এ সংগঠনের নেতা ও কর্মীদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে ঢুকানো হচ্ছে। অনেককে অপহরণ ও গুম করা হচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য জনাব মীর কাসেম আলীর ছোট ছেলে ব্যারিষ্টার আরমানকে ৯ আগস্ট দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাকে আদালতে উঠানো হয়নি এবং পরিবারের নিকট ফেরতও দেয়া হয়নি। ফলে স্বাভাবিক কারণেই তার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন সকলেই চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাছাড়া ব্যারিষ্টার আরমান তার পিতা জনাব মীর কাসেম আলীর আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ফলে তার অনুপস্থিতিতে মামলা পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ায় তার পিতা জনাব মীর কাসেম আলী ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরকারের এ ধরনের আচরণ চরম মানবতাবিরোধী। যেখানে সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা, সেখানে সরকার ভিন্ন মতাবলম্বীদেরকে অপহরণ করে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করছে। ব্যারিষ্টার আরমানের জীবন নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

জনাব মীর কাসেম আলীসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং ব্যারিষ্টার আরমানকে মুক্তি দিয়ে তার পরিবারের নিকট ফেরত দেওয়ার দাবিতে আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ২৩ আগষ্ট মঙ্গলবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ঘোষিত এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য আমি সংগঠনের সকল শাখার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।”