১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার, ৮:৪৯

মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মর্টার সেল নিক্ষেপ ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

বর্তমান আওয়ামী সরকারের দুর্বল ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মর্টার সেল নিক্ষেপ ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ১৭ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের নিকট বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি যে অত্যন্ত দুর্বল, তা খুবই পরিষ্কার। বাংলাদেশ সরকারের এই দুর্বল ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই সম্প্রতি মিয়ানমারের জান্তা সরকার বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টার সেল নিক্ষেপের দুঃসাহস দেখিয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনতা কোনো দেশের খবরদারী কিছুতেই বরদাশত করবে না।

১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি থানার তুমরু এলাকায় মর্টার সেল বিস্ফোরণে একজন নিহত ও শিশুসহ ৫ জন আহত হয়েছে। বর্তমানে সেখানে এক ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। গত ২৮ আগস্ট বান্দরবানের এই তুমরু সীমান্তেই মিয়ানমার থেকে দুটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল এসে পড়েছিল। এছাড়া গত ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টারের গোলা বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে এসে পড়ে। মিয়ানমারের এ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে এখনো কোন বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। ফলে মিয়ানমার বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পাচ্ছে। আমরা সরকারের এই নতজানু ও দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকারের যে ধরনের সমন্বিত জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল, সরকার সে ধরনের পদক্ষেপ নিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ মনে করে, সরকারের সামগ্রিক ব্যর্থতা বিশেষ করে ব্যর্থ পররাষ্ট্রনীতির কারণেই রোহিঙ্গা সমস্যার এখনো কোনো সমাধান হচ্ছে না।

আমরা সীমান্ত রেখায় মিয়ানমারের বাড়াবাড়ির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর উদ্যোগ কামনা করছি।”