৬ আগস্ট ২০২২, শনিবার, ৬:০৮

ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত একেবারেই অযৌক্তিক এবং চরম জনস্বার্থ বিরোধী

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ৬ আগস্ট এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সরকার জনগণের দুঃখ-কষ্টের কথা বিবেচনা না করেই ৫ আগস্ট মধ্যরাতে এক ঘোষণার মাধ্যমে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৪২.৫%, পেট্রোল ও অকটেনের মূল্য ৫১% বাড়িয়ে দিয়েছে। ডিজেল ও কেরোসিনের পূর্বে লিটার প্রতি মূল্য ছিল ৮০ টাকা যা প্রতি লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে বর্তমানে হয়েছে ১১৪ টাকা। পেট্রোলের মূল্য ছিল পূর্বে লিটার প্রতি ৮৪ টাকা যা প্রতি লিটারে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে বর্তমানে হয়েছে ১৩০ এবং পূর্বে অকটেনের লিটার প্রতি মূল্য ছিল ৮৯ টাকা যা প্রতি লিটারে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে বর্তমানে হয়েছে ১৩৫ টাকা। জনগণের স্বার্থকে সম্পূর্ণ রূপে উপেক্ষা করে সরকার একতরফাভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এমনিতেই জনগণের নাভিশ্বাস। এর মধ্যে তেল ও গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এর প্রভাব সকল কিছুর উপর পড়বে। প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী, সেচ, কৃষিপণ্য ও পরিবহন ভাড়াসহ সকল ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ইতোমধ্যেই ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে কোথাও কোথাও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মানুষ এমনিতেই অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করছে। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি জনগণের জন্য ‘মরার উপর খাড়ার ঘাঁ’ হয়ে দাঁড়াবে। আমরা সরকারের এই অযৌক্তিক ও অন্যায্য সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সিলেট বিভাগ ও উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিশাল অংশ স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে চাকুরি হারিয়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে দেশের মানুষ অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছে। খেটে খাওয়া মানুষের তিন বেলা ডাল-ভাত জোগাড় করতেই অনেক কষ্ট হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত একেবারেই অযৌক্তিক এবং চরম জনস্বার্থ বিরোধী।

অবিলম্বে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের মূল্য বৃদ্ধির জনস্বার্থ বিরোধী এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”