১৩ জুন ২০২২, সোমবার, ৯:৩৪

‘জিহাদ’ সম্পর্কে সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ

-অধ্যাপক মজিবুর রহমান

জাতীয় সংসদে ‘জিহাদ’ সম্পর্কে সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ১৩ জুন ২০২২ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “১৩ জুন মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে স্পীকারকে উদ্দেশ্য করে সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় বলেন, “মাননীয় স্পীকার, আজ থেকে কেউ যেন জাতীয় সংসদে ‘জিহাদ’ শব্দ উচ্চারণ করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নিন।” আমরা তার এই ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই, ‘জিহাদ’ পবিত্র কুরআন মাজিদের একটি বহুল ব্যবহৃত পরিভাষা এবং ইসলামের একটি সামগ্রিক শব্দ। ‘জিহাদ’ শব্দটি ইসলাম ধর্মের মূল স্পিরিট। জিহাদ মানে হল ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম এবং আত্মসংশোধন। কোনো কোনো সময় এটা মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার জন্য চূড়ান্ত সংগ্রামও বটে।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, মূলত জিহাদের উদ্দেশ্যে হলো- জীবন, সম্পত্তি ও ভূমি রক্ষা, অন্যায় ও নির্যাতন থেকে নিজের সম্মান ও স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং অন্যকে রক্ষা করা। জিহাদ সমাজে ভালো কিছু করার এবং সমাজ থেকে অন্যায়, নির্যাতন, মন্দকে দূর করার সংগ্রাম। এই সংগ্রাম আধ্যাত্মিক এবং একই সাথে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনাচারের বিরুদ্ধে। জিহাদ হলো শোষিতের পক্ষে এবং শোষক ও জালিমের বিরুদ্ধে সংগ্রামের নাম। তাই জনগণের বুঝতে বাকী নেই যে, যারা সমাজে-রাষ্ট্রে মানুষকে শোষণ করে এবং যারা ঘুষ-দুর্নীতি, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজের সাথে জড়িত ও যারা জনগণের সম্পদ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কুক্ষিগত করে কেবল তারাই জিহাদের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে পারে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে কেউ কুরআনের কোনো পরিভাষা নিয়ে আপত্তি করতে পারে না। তাই আমরা অনতিবিলম্বে সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়কে জিহাদ সম্পর্কে তার ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে ভবিষ্যতে যেন কেউ ইসলাম সম্পর্কে কোনো ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য রাখতে না পারে, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”