২৪ অক্টোবর ২০২১, রবিবার, ৮:০৩

তিস্তা ব্যারেজের গেট খুলে দেয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের আহ্বান

তিস্তা ব্যারেজের গজলডোবা অংশের গেট খুলে দেয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিহাট ও নীলফামারীতে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ২৪ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেনঃ

“ভারত তিস্তা ব্যারেজের গজলডোবা সবগুলো গেট খুলে দেয়ায় গত কয়েকদিনে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে আকস্মিক বন্যায় ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ১০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সেখানে ১ জন লোক নিহত ও কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় ৫ শতাধিক পরিবার উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যাকবলিত এসকল এলাকার ঘরবাড়ি, দোকান-পাট, ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ প্রায় ১৪০টি পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অনেক জায়গায় রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ভয়াবহ এ বন্যায় অনেকে বেঁচে থাকার শেষ সম্বলটুকুও হারিয়েছেন। কেউ কেউ ঋণ করে পূর্বের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু আকস্মিক বন্যার কারণে সে আশার বাতিটুকুও নিভে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে এ সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন এবং ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ-সামগ্রী বরাদ্দ ও নগদ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সেই সাথে সামর্থানুযায়ী সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গ বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”