৩ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১০:২৪

ড. মাওলানা হাফেজ রেজাউল করিম খানসহ ৫ জন নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জয়পুরহাট জেলা শাখার নায়েবে আমীর ড. মাওলানা হাফেজ রেজাউল করিম খানসহ ৫ জন নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ৩ জুন এক বিবৃতি প্রদান করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “পুলিশ ২ জুন সন্ধ্যা ৭টায় জয়পুরহাট জেলা শাখার নায়েবে আমীর ড. মাওলানা হাফেজ রেজাউল করিম খান, কালাই উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মুনসুর রহমান ও সেক্রেটারি জনাব আবদুর রউফ, কালাই উপজেলা শাখা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যক্ষ তাইফুল ইসলাম ও কালাই উপজেলা শাখার ওলামা-মাশায়েখ বিভাগের দায়িত্বশীল মাওলানা মোজাফ্ফর হোসেনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দ কালাই উপজেলা শাখা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুনসুর রহমানের বাসায় দলীয় বৈঠক করছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা ওয়ারেন্ট ছিলনা। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি সরকারের এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক দল। দেশের সংবিধান অনুসারে যে কোনো বৈধ দলের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে স্বৈরাচারী পন্থায় জামায়াতের ওপর অব্যাহতভাবে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। একটি বৈধ গণতান্ত্রিক দল হওয়া সত্ত্বেও সরকার বেআইনীভাবে দলীয় কার্যক্রমে বাধা দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। জামায়াতের নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ এমনকি ঘরোয়া সভা-সমাবেশও বাধা দিচ্ছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, ভর্তি বাণিজ্য ও সীটবাণিজ্য, আধিপত্য বিস্তার, দলীয় কোন্দলের কারণে খুন ও তান্ডব চালাচ্ছে। পুলিশ তাদের দমন না করে উল্টো নিরীহ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে হয়রানি করছে। জুলুম-নিপীড়নের পরিণতি কখনো শুভ হয় না।

গণতন্ত্র হরণকারী স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ করে জয়পুরহাট থেকে গ্রেফতারকৃত ৫ নেতাসহ সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”