২৭ আগস্ট ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:২৪

বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসনের ভূমিকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসনের ভূমিকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৭ আগষ্ট এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গত ৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকা থেকে দিশা মনি নামে একটি মেয়ে নিখোঁজ হয়। ৬ আগষ্ট মেয়েটির বাবা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করে দফায় দফায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে। জোরপূর্বক ১৬৪ ধারায় ধর্ষণ ও খুনের স্বীকারোক্তি আদায় করে। অথচ নিখোঁজ হওয়ার ৫১ দিনের মাথায় মেয়েটিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। মামলা দায়েরের পর নিখোঁজ মেয়েটি নিহত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো তদন্ত না করেই নিরীহ মানুষকে অন্যায়ভাবে আটক করে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে এবং মোটা অংকের অর্থও আদায় করছে।

প্রশাসনের হাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোটা বিচার ব্যবস্থা বন্দী হয়ে পড়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীগণ দীর্ঘদিন যাবৎ বলে আসছেন ‘নিম্ন আদালত সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’ ১৬৪ ধারায় স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দী নিয়ে বহু পূর্ব থেকেই আপত্তি উত্থাপিত হয়ে আসছে। নারায়ণগঞ্জের নিখোঁজ মেয়েটিকে ৫১ দিন পর ফিরে পাওয়া গেলো। অথচ তাকে হত্যার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করে আদালতে স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দী নেয়া হলো। নিখোঁজ মেয়েটিকে ফেরৎ পাওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হলো স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দীর কোনো কার্যকারিতা ও সত্যতা নেই। প্রকৃত পক্ষে ১৬৪ ধারাটিকে জুলুম-নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের ঘটনার সাথে জড়িত অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, ১৬৪ ধারার অপব্যবহার বন্ধ এবং সর্বোপরি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”