৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ১:২৮

উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাতের আশঙ্কা থেকে পরিত্রাণের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়ার আহ্বান

আজ শনিবার ৯ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের উপর সম্ভাব্য আঘাত হানার আশঙ্কা থেকে পরিত্রাণের জন্য নফল নামাজ, তাসবীহ-তাহলীল ও মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারের দোয়া এবং সম্ভাব্য যেকোন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে সরকার, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দেশের বিত্তবান মানুষসহ উপকূলীয় অঞ্চলের জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ সকল শ্রেণি-পেশার সাধারণ জনগণকে দুর্গত মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ৯ নভেম্বর এক বিবৃতি দিয়েছেন।

প্রদত্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, “দেশের আবহওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আজ শনিবার ৯ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে দেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের উপর আঘাত হানার আশংকা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য জেলা সমূহ ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। আবহাওয়ার এমন অগ্রিম সতর্কবার্তা বাস্তবে রূপ নিলে তাতে উপকূলীয় এলাকায় জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সকল বিপদ-আপদ, সংকট-দুর্যোগ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে হাকীমে ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা, জানমাল ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে পরীক্ষা করব’ (সুরা আল বাকারাহ-আয়াত-১৫৫)। কিন্তু আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মানুষের জন্য মোটেই সহজ সাধ্য নয়। তাই ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’সহ যেকোন সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচতে ও আল্লাহর পরীক্ষা থেকে নাজাত পেতে আমাদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারের ধর্ণা দেয়ার কোন বিকল্প নেই।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কালামে পাকে আমাদেরকে সে নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, ‘তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর।’ (সুরা আল বাকারাহ-আয়াত-৪৫) তিনি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাত থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহ তায়ালার সাহায্য প্রার্থনা করে দেশের সকল মসজিদে ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে নফল নামাজ, তাসবীহ-তাহলীল ও বিশেষ মোনাজাত করতে সারাদেশের সকল স্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।

উপকূলীয় অঞ্চলের লোকদের নিরাপদ স্থানে সরানোসহ তাদের কল্যাণের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য নিতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা। নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্য সামগ্রী, পানীয় দ্রব্য ও চিকিৎসা সামগ্রীর অগ্রিম মজুদ রাখতে হবে। এ বিষয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ, যেকোন দুর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়ানো সরকারের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের আশঙ্কা থেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার সাহায্য কামনা করেন এবং মহান আল্লাহর ফয়সালা অনুযায়ী সম্ভাব্য যে কোন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সরকার, দাতা ও সাহায্য সংস্থা এবং উপকূলীয় অঞ্চলের জামায়াতে ইসলামীর সকল স্তরের নেতাকর্মীসহ সকল শ্রেণি-পেশার জনগণকে মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়ে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।”