বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির পর্যালোচনা চলছে। একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে ৫৪ বছর পার হলেও সকল ক্ষেত্রে জন আকাঙ্খার বাস্তবায়ন নাই। সংবিধানে সকল ক্ষেত্রে সমতার কথা বলা হলেও আমরা তা আজও পাইনি। এখনো আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান হয় নাই। কেউ জুলুমের শিকার হয়েছে দিনের পর দিন, আর কেউ অন্যায় করেও পার পেয়ে গেছে। শাসক গোষ্ঠীর, শাসক শ্রেণীর আত্মীয়-স্বজন সব সময়ই আইনের ঊর্ধ্বে থেকে গেছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসির রেকর্ড এদেশেই আছে। আমাদের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।”
৯ নভেম্বর শনিবার রাজবাড়ী জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আমীর জনাব এ্যাড. নূরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি জনাব মোঃ আলীমুজ্জামান এর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর অঞ্চল টিম সদস্য জনাব শামসুল ইসলাম বরাটি, অঞ্চল টিম সদস্য জনাব প্রফেসর (অবঃ) আবদুত তাওয়াব, জেলা নায়েবে আমীর জনাব মোঃ হাসমত আলী হাওলাদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, “সকল মানুষের জন্য একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এমন একটা দেশের স্বপ্ন দেখি, যেখানে হত্যা, সন্ত্রাস থাকবে না। যেখানে মানুষ নিশ্চিন্তে বসবাস করবে। চাঁদাবাজ লুটপাট নৈরাজ্য থাকবে না। সেই রাষ্ট্র গঠনে আমরা দেশবাসীর সহযোগিতা চাই।”
তিনি বলেন, “আমরা স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, গত ১৬ বছরে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা কম ঘটেনি। সাগর-রুনি নিহত হলেও সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও পাওয়া যায়নি। লিখতে গিয়ে সাংবাদিক ভাইদের কলম থমকে গেছে। সাংবাদিকদের উপর হামলা হয়েছে, মামলা হয়েছে, হুমকি দেয়া হয়েছে। সাংবাদিককে দেশে ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা সবসময়ই এই অবস্থার অবসান চেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ এই অবস্থার প্রাথমিক অবসান হয়েছে। ভীতিকর পরিবেশ এখন আর নেই। এ অবস্থা আরো দীর্ঘ হোক তার জন্য প্রত্যেককে তার নিজ নিজ জায়গা থেকে চেষ্টা করে যেতে হবে। এই স্বাধীন দেশের বিরুদ্ধে নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। বিভিন্নভাবে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। সচেতন থাকতে হবে। এসব আমাদেরকেই রুখে দিতে হবে।”
সম্মেলনে প্রধান অতিথি নবনির্বাচিত জেলা আমীর জনাব এ্যাড. নূরুল ইসলামকে শপথ বাক্য পাঠ করান।