২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৭:১৯

জেলা ও মহানগরী আমীর সম্মেলনে আমীরে জামায়াত

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা ও মহানগরী আমীর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়।

বর্তমান আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। সরকার ক্ষমতায় আসার সময় ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর ঘোষণা দিলেও বাস্তবে ৬০/৭০ টাকার নিচে বাজারে কোনো চাল নেই। ডাল, তেল, মাছ, মুরগী, ডিম, দুধ ও শিশু খাদ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবিকা নির্বাহ এখন দুঃসহ হয়ে পড়েছে। সরকার দলীয় লোকজন কর্তৃক বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেটের ফলে সাধারণ মানুষ তাদের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে। মূলত সরকারের ছত্রছায়ায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজি করে পণ্যের মূল্য তাদের ইচ্ছে মত বাড়িয়ে দিচ্ছে। একদিকে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি অপরদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যে দুরবস্থা ও শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে চাকুরি হারিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য বেঁচে থাকা এখন খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।

বিনা ভোটে নির্বাচিত এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা না থাকায় সরকার যা ইচ্ছে তাই করছে। গত ১৩ বছরে পানির দাম বাড়ানো হয়েছে ১৪ বার। সরকার আবারো এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে বর্তমান আওয়ামী সরকারের আমলে গত ১৪ বছরে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়লো হলো ১৩ বার এবং পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়েছে ১১ বার। বিদ্যুতের এই মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব সবকিছুর ওপর পড়বে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আরো বৃদ্ধি পাবে।

সরকার দলীয় লোকজনের সীমাহীন দুর্নীতি, লুট-পাট এবং বিদেশে অর্থপাচারের ফলে দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। প্রয়োজনীয় রিজার্ভ-এর অভাব ও ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রীও আমদানি করতে পারছে না। সামনে রমজানে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

জামায়াতে ইসলামীর জেলা ও মহানগরী আমীর সম্মেলন অবিলম্বে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের আহবান জানাচ্ছে।