৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার, ৯:৩৩

জামায়াত দল-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার আগে মানুষ, মনুষ্যত্ব ও মানবতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে

-মাওলানা আবদুল হালিম

গত ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ আনুমানিক রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার সলেয়াশাহ বাজার সংলগ্ন খারুভাজ সেতুর কাছে নিহত হন ধনজয় (কুর্শা ইউনিয়ন), আনিসুর রহমান (সয়ার উনিয়ন) ও আনোয়ার হোসেন (হাড়িয়ালকুটি ইউনিয়ন) এর বাসিন্দা। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম নিহত এই ৩ জনের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা ও সান্ত্বনা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

নিহত ধনজয়ের পক্ষে অর্থ গ্রহণ করেন তার মাতা প্রভাতী রানি, সাথে ছিলেন নিহতের বিধবা স্ত্রী শ্রী কৃষ্ণ রানি এবং তার শিশু মেয়ে পিংকী ও শিশু ছেলে পার্থ। আনিসুর রহমানের পক্ষে অর্থ গ্রহণ করেন তার স্ত্রীর ছোট ভাই কাজী মাসুদ রানা এবং আনোয়ার হোসেনের পক্ষে নগদ অর্থ গ্রহণ করেন তার স্ত্রী মোছাঃ রফিকা খাতুন, সাথে ছিল তার শিশু সন্তান গোলাম রব্বানি।

মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “স্বজন হারানোর বেদনা সহ্য করা কঠিন। মৃত্যু মানুষের জন্য নির্ধারিত ও দুর্ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। জামায়াতে ইসলামী আপনাদের দুঃসময়ে সমবেদনা প্রকাশ ও আপনাদের কষ্টে শরীক হওয়ার জন্য এসেছে। জামায়াত মানুষের ভেদাভেদে বিশ্বাস করে না। জামায়াত দল-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার আগে মানুষ, মনুষ্যত্ব ও মানবতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এ সময় তিনি বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাসের স্টাফ ধনজয়ের শিশু সন্তানকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করেন ও কান্নারত স্ত্রীকে সান্ত্বনা প্রদান করেন।”

তারাগঞ্জের একটি স্থানীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সান্ত্বনা সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম রব্বানি, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক, তারাগঞ্জ উপজেলা আমীর মাওলানা জয়নাল আবেদীন ও সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল হোসাইনসহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

রংপুরের কাউনিয়ায় ঘর হস্তান্তর

গত ১৮ জুলাই রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সফর করেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়াবহতা অনুধাবন করে স্থানীয় সংগঠনকে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ প্রদান করেন। আমীরে জামায়াতের সেই নির্দেশ অনুযায়ী জেলা সংগঠনের তত্ত্বাবধানে ও স্বেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার টেপা মধুপুর ইউনিয়নের চরগনাই গ্রামের ৩টি পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তর করেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর মহানগরী আমীর জননেতা এটিএম আজম খান, জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রব্বানি, সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক, কাউনিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা আবদুস সালামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।