বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ঘরগুলো হস্তান্তর করেন।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৬:২৬

বন্যায় নদী ভাঙণে ঘরবাড়ি হারা ১৪টি পরিবারকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর হস্তান্তর

জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী দল হিসেবে সাধ্যানুযায়ী সকল জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে- মাওলানা আবদুল হালিম

২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিগত বন্যায় নদী ভাঙণে ঘরবাড়ি হারা কুড়িগ্রাম জেলার সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ি ও উলিপুর উপজেলার ১৪টি পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম এই ঘরগুলো হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, কুড়িগ্রাম জেলা আমীর আবদুল মতিন ফারুকী, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা নাজিম উদ্দিন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল হামিদ, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান ও রাজারহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা কফিল উদ্দিনসহ কুড়িগ্রাম জেলার উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই কুড়িগ্রাম জেলার বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সফর করেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়াবহতা অনুধাবন করে স্থানীয় সংগঠনকে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ প্রদান করেন। আমীরে জামায়াতের সেই নির্দেশ অনুযায়ী জেলা সংগঠনের তত্ত্বাবধানে ও স্বেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

ঘর হস্তান্তরকালে মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “বিপদাপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দায়বদ্ধতা থেকে আমরা সহায়-সম্বল হারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এটি একটি মাননিক, সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজ। জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী দল হিসেবে সাধ্যানুযায়ী সকল জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবিতে নিহত পরিবারগুলোকে আমরা সান্ত্বনা, সমবেদনা ও নগদ অর্থ প্রদান করেছি। মানবিক দায়িত্বের অংশ হিসেবেই আজ এই ১৪টি ঘর আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হল। এই জাতীয় সহযোগিতা আমাদের অনুগ্রহ নয়। বরং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অধিকার। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের প্রাপ্য অধিকারটুকু পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি।”