১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, বুধবার, ৯:২৬

রিমান্ড শেষে কারাগারে জামায়াত নেতৃবৃন্দ

৬ সেপ্টেম্বর জামায়াতের সাংগঠনিক বৈঠক চলাকালে রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দকে দুই দফা রিমান্ড শেষে ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার আদালতে হাজির করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে আইনজীবীগণ নেতৃবৃন্দের জামিনের জন্য আবেদন করেন। জামিন আবেদনের শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন এ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক, এ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন, এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, এ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, এ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, এ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান আজাদ, এ্যাডভোকেট আবু বক্কর ও এ্যাডভোকেট হেলালুদ্দিনসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী। আইনজীবীগণ তাদের বক্তব্যে উচ্চ আদালতের বিভিন্ন রেফারেন্স এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারা তুলে ধরে মামলার ত্রুটিপূর্ণ দিকসমূহ আদালতের সামনে উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীগণ জামিনের বিরোধিতা করে তাদের যুক্তি তুলে ধরেন। বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শোনেন এবং জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে নেতৃবৃন্দকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে ৬ জন আইনজীবী ৬ জন নেতার সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন। নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বর্ণিত বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইসলামী আন্দোলন করি। মামলা দিয়ে এ আন্দোলন দমানো যাবে না।” নেতৃবৃন্দ আইনজীবীগণকে এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।

আইনজীবীগণ জানান, নেতৃবৃন্দ শারীরিকভাবে কিছুটা ক্লান্ত হলেও মানসিকভাবে অত্যন্ত দৃঢ় ও মজবুত রয়েছেন। নেতৃবৃন্দ ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়ে দেশবাসিকে সালাম দিয়েছেন এবং তাদের জন্য দোয়া করতে বলেছেন।