২৩ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার, ১২:৪৬

ঢাকা-১৫ আসনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই

ঢাকা-১৫ আসনে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারী দলের মনোনীত প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যাপকভাবে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করছে

জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৫ আসনে ২০-দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ডা. শফিকুর রহমান আজ ২৩ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৫ আসনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। এ আসনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৫ আসনে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারী দলের মনোনীত প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যাপকভাবে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করছে। এ এলাকায় আমার নির্বাচনী কর্মীদের সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে, গ্রেফতার করছে, গুম করছে, বাড়িতে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করছে এবং জনগণকে হুমকি দিচ্ছে। পোস্টার লাগাতে ও প্রচারপত্র বিলি করতে দিচ্ছে না।

আমার নির্বাচনী সমন্বয়ক ড. রেজাউল করিমকে তার গাড়ীর ড্রাইভারসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. আবদুল হালিম, নির্বাচনী কর্মী জনাব নজরুল ইসলাম, আমীর হামজা সোহাগ, হাসিনা বেগম, আবিদা বেগম ও জনাব নজরুল ইসলামকে অপহরণ করে গুম করে রাখা হয়েছে। তাদের কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমান তপনসহ ৪ জন যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর ছাত্রদলের ২ জন কর্মীকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা নির্দয়ভাবে প্রহার করে তাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করেছে। এভাবে ঢাকা-১৫ আসনের সর্বত্র চলছে সন্ত্রাসী তান্ডব।

এ রকম একটি নৈরাজ্যজনক অবস্থায় ঐ আসনে কিভাবে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে এবং ভোট দিবে? এ থেকে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে সরকারী দলের পায়ের নিচে মাটি নেই। নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় নির্বাচন বানচালের জন্য সরকার পরিকল্পিতভাবে যে ষড়যন্ত্র করছে, তারই অংশ হিসেবে ঢাকা-১৫ আসনসহ সারা দেশে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের পরিবেশ ধ্বংস করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দেশকে এ নৈরাজন্যজনক অবস্থা থেকে উদ্ধার করার একমাত্র পথ হল অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা।

তাই ঢাকা-১৫ আসনসহ সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা-১৫ আসনে আমার নির্বাচনী সমন্বয়ক ড. মুহাম্মাদ রেজাউল করিমকসহ সারা দেশে ২০-দলীয় জোটের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”