২০ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১:২০

অধ্যাপক বেলালুজ্জামানকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে আহত করা এবং পাবনায় জামায়াতের নেতা নেত্রীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নাটোর জেলা শাখার আমীর অধ্যাপক বেলালুজ্জামানকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে সাদা পোষাকধারী ব্যক্তিরা তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে প্রহার করা এবং পাবনা জেলা শাখা জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারী শামছিয়ারাসহ ৬জন নেত্রী ও কর্মীকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ২০ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “নাটোর জেলা শাখা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক বেলালুজ্জামানকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে সাদা পোষাকধারী ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে প্রহার করা এবং পাবনা জেলা শাখা জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারী শামছিয়ারাসহ ৬জন নেত্রী ও কর্মীকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার দ্বারা আবারো প্রমাণিত হচ্ছে যে, দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। নাটোর জেলা শাখা জামায়াতের আমীরকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে আহত করা এবং পাবনায় জামায়াতের নেতা নেত্রীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নাটোর জেলা শাখা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক বেলালুজ্জামানকে ২০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সিংডা উপজেলার শেরকোল গ্রামে অবস্থিত তার বাসা থেকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে সাদা পোষাকধারী ব্যক্তিরা সাদা রংয়ের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে বড়োবাড়িয়া নামক বিলের মধ্যে নির্জন এলাকাতে নিয়ে তাকে লোহার রড ও হাতুরি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে তার বাম পায়ের ও ডান পায়ের নীচের হাড় ভেঙ্গে ফেলে রেখে চলে যায়। প্রচন্ড রক্তক্ষরনের কারণে আশংকাজনক অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
পাবনা জেলা শাখা মহিলা বিভাগের সেক্রেটারী শামছিয়ারাসহ ৬ জন নেত্রী ও কর্মী ১৯ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় পাবনা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নে ভোটারদের সাথে জনসংযোগের জন্য বের হলে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার পর পুলিশ ২০ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে সোপর্দ করে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় জামায়াতে ইসলামীসহ কোন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীকে নির্বাচনী গণসংযোগের জন্য মাঠে নামতে দিচ্ছে না। এই সব ঘটনা থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ফ্যাসিবাদী সরকার ও তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আর সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন সরকারের সহযোগীর ভূমিকায় অবর্তীণ হয়েছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ব্যালট ডাকাতির নির্বাচনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

গ্রেফতার অভিযান, নির্যাতন ও হয়রানী বন্ধ করে নাটোর জেলা শাখা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক বেলালুজ্জামানকে নির্মমভাবে প্রহার করার ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং পাবনাসহ সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত নেতা-নেত্রী ও কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”