১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার, ১২:২০

পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়ার আশংকায়ই সরকার নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে

পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা জহুরুল ইসলাম, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী এবং দিনাজপুর-৬ আসনের ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের আমীর জনাব মোঃ আনোয়ারুল ইসলামের সহোদর ছোট ভাই মো: তোফাজ্জেল হোসেনকে ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ১৭ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,“সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তারই অংশ হিসেবে জামায়াতের উপরে উল্লেখিত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সরকার বেপরোয়াভাবে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার অভিযান জোরদার করছেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের পায়ের নীচে মাটি নেই। সরকারের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়ার আশংকায়ই সরকার নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনও সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারের সাথে সূর মিলিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত বানচাল করার জন্য ঐক্যব্ধভাবে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা জহুরুল ইসলামসহ জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”