১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৭:২৯

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও জামায়াত নেতা জনাব গাজী নজরুল ইসলাম ও চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল বারীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও জামায়াত নেতা জনাব গাজী নজরুল ইসলাম এবং শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল বারীকে আজ ১৬ ডিসেম্বর পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ১৬ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার ও নির্বাচন কমিশন ভোটারবিহীন একতরফা ব্যালট ডাকাতির নির্বাচনের প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করার যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তার অংশ হিসেবেই জনাব গাজী নজরুল ইসলাম ও মাওলানা আবদুল বারীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ দলীয় জোটের ধানের শীষ প্রতীকের বেশ কয়েকজন জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর নাম ধরে ধরে টার্গেট করে মিথ্যা বক্তব্য দেয়ার পরপরই সাতক্ষীরার জনাব গাজী নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করার ঘটনার দ্বারাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সরকার ও নির্বাচন কমিশন মুখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বললেও কার্যতঃ তারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটকে বিজয়ী করার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সারা দেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের কোথাও গণসংযোগ করতে দেয়া হচ্ছে না, বরং পদে পদে বাধা দেয়া হচ্ছে। সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা বিরোধী দলের নির্বাচনী মিছিলে হামলা করে নেতা-কর্মীদের মারধর ও লাঠিপেটা করছে। কোথাও কোথাও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের পোস্টার ছিনিয়ে নেয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনী অফিস পর্যন্ত পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নির্বাচনী মিছিলে গুলি করে বিরোধী দলের প্রার্থী এবং নেতা-কর্মীদের আহত করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যেখানে ২০ দলীয় জোটের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের গুলি করে হত্যা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কিভাবে বলতে পারলেন যে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে? সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, তারা নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। 

উপরোল্লিখত ঘটনার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন আদৌ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় না। সরকারের হামলা, মামলা ও গ্রেফতার অভিযান এবং নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জাানাচ্ছি।

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থেই হামলা, মামলা এবং গ্রেফতার অভিযান বন্ধ করে জনাব গাজী নজরুল ইসলামসহ সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”