১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৮:৪৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ

যাদের বয়স ১৯৭১ সালে ৪ বছর ছিল তাদেরকে যুদ্ধাপরাধী সাজিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন তা হাস্যকর

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কয়েকজন প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিুবর রহমান বলেন, “যাদের বয়স ১৯৭১ সালে ৪ বছর ছিল তাদেরকে যুদ্ধাপরাধী সাজিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন তা হাস্যকর।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আঃ হাকিম, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, খুলনা-৫ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সাতক্ষীরা-৪ আসনের প্রার্থী জনাব গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ আসনের প্রার্থী জনাব শামীম সাঈদী, কক্সবাজার-২ আসনের প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল জনাব হামিদুর রহমান আযাদ সম্পর্কে যে সব বক্তব্য রেখেছেন, তার মধ্যে সত্যের লেশমাত্র নেই।

উপরে উল্লেখিত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীগণের মধ্যে ১৯৭১ সালে শামীম সাঈদীর জন্মই হয়নি। আর বাকীরা তখন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন। তিনি কক্সবাজার-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জনাব হামিদুর রহমান আযাদকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অথচ জনাব হামিদুর রহমান আযাদ ঐ সময় মাত্র ৪ বছরের শিশু ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী জামায়াতে ইসলামীর যে সব নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে উল্লেখ করেছেন, প্রকৃত পক্ষে তারা কেউই যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না। তারা রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা কর্তৃক লিখিত ও প্রকাশিত বইয়ের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নিকট এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারণে বিচারের নামে প্রহসন করে তাদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রচলিত আইন ও মানবাধিকার লংঘন করেছেন।

নির্বাচনের সময় রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে তিনি গোটা প্রশাসনকে ঐ সব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার একটি পরোক্ষ নির্দেশ তিনি দিয়েছেন। নির্বাচনের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য আইন, সংবিধান ও নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লংঘন। আমরা তার এ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ধরনের আক্রমণাত্মক ও উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”