৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার, ১০:২৪

নির্বাচনে জনগণ যাতে ভোট দিতে না পারে সে জন্যই পুলিশ গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে জনগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জনাব মোঃ সেকান্দার আলী, নাটোর জেলার বাগাতি পাড়া উপজেলা নিবাসী জামায়াতের সদস্য (রুকন) জনাব বজলুর রহমান, অলিয়া ইউনিয়ান জামায়াতের সেক্রেটারী জনাব মোঃ আলী, বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী জনাব মোঃ তরিকুল ইসলাম, কর্মী মনসুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার খাট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য মোঃ মোজাহিদুল ইসলামকে ৯ ডিসেম্বর পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম আজ ৯ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ভোটারবিহীন ব্যালট ডাকাতির নির্বাচনের প্রহসন করার হীন উদ্দেশ্যে রাজশাহী, নাটোর ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের বিনা পরোয়ানায় পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে। পুলিশের এ ধরনের অন্যায় ও অবৈধ আচরণের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।

নির্বাচন কমিশন বলেছে, যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার পরে কাউকেই গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না। অথচ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করে পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের বেআইনীভাবে গ্রেফতার করছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণের কোন চেষ্টাই করছেন না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারা দেশে গ্রামে গ্রামে বেআইনীভাবে গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। নির্বাচনে জনগণ যাতে ভোট দিতে যেতে না পারে সে জন্যই পুলিশ গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে জনগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমি আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পুলিশের বেআইনী তৎপরতা বন্ধ করে সকল প্রার্থীর জন্য সমাজ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেআইনী গ্রেফতার অভিযান বন্ধ করে সারা দেশে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”