২৬ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৯:৫৯

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পূর্ণ নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকার উপর

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার পক্ষপাতমূলক ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ২৬ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পূর্ণ নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকার উপর। কিন্তু গোটা দেশবাসীর সাথে আমরাও গভীর বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের ভূমিকা একান্তই পক্ষপাতমূলক এবং গণতান্ত্রিক আচরণের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

দেশবাসী আশা করেছিল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেফতার অভিযান বন্ধ করা হবে এবং আর কোন গায়েবি মামলা দায়ের করা হবে না।

গত ২৪ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব একেএম নূরুল হুদা খোলামেলা দায়িত্ব নিয়েই বলেছেন, ‘পুলিশ আমাদের কথা মানছে। আমাদের কথার বাইরে বিনা কারণে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করে না, করছেনা। পুলিশ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে’। তার এ বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে যায়, স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার যেখানে নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি করবেন, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজেই পরিবেশ বিনষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ এবং গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়, তাহলে এর পুরো দায়ভার তাদের উপরেই বর্তাবে।

অতএব, হয়রানী, নিপীড়ন ও বৈষম্যমূলক কর্মকা- সম্পূর্ণরূপে পরিহার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আরেকবার আহ্বান জানাচ্ছি।”