৪ নভেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৬:৫৬

ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেনের উপর অসভ্য এবং বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা

ব্যারিষ্টার মইনুল সরকারের ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড ও একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণেই সরকার তার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছে

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সুপ্রীম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেনের উপর অসভ্য এবং বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ৪ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “আজ ৪ নভেম্বর ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার অবস্থায় পুলিশ রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার সময় আদালতের সামনেই তার উপর আওয়ামী লীগ এবং তাদের অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলা, উপর্যুপরি চর-থাপ্পড়, জুতা ও ডিম নিক্ষেপ এবং ঝাড়– মিছিলের মত অসভ্য ও বর্বর কর্মকাণ্ড কোন সভ্য সমাজে অকল্পনীয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন সরকারের ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পিতভাবে একতরফা প্রহসনের পাতানো নির্বাাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণেই সরকার তার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ায়ে সরকার তাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি সরকারের অশুভ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আজকে তার উপর অসভ্য ও বর্বরোচিত হামলাই প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার বলতে কিছুই নেই। সরকারের যদি গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি সামান্যতম কোন শ্রদ্ধাবোধ থাকত, তাহলে পুলিশের হাতে গ্রেফতার থাকাবস্থায় আদালতের সামনে তার উপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বেপরোয়াভাবে বারবার হামলা করতে পারত না। পুলিশ সেখানে দর্শকের মত দাঁড়িয়ে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের উৎসাহ যুগিয়েছে। এ ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই।

ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেনের উপর হামলার ঘটনার অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং সাজানো মামলা প্রত্যাহার করে ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেনকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”