৪ নভেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৫:২৫

চট্টগ্রামে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কার্যালয়ে পুলিশের পরিকল্পিতভাবে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা

গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগরী শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের কার্যালয়ে পুলিশের ব্লক রেইড দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তল্লাসী চালানো এবং সেখান থেকে ৬টি তাজা ককটেল, গান পাউডার, পেট্রল ও লাঠি জব্দ করার সাজানো নাটকের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ৪ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “চট্টগ্রাম মহানগরী শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের কার্যালয়ে পুলিশের ব্লক রেইড দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তল্লাসী চালানো এবং সেখান থেকে ৬টি তাজা ককটেল, গান পাউডার, পেট্রল ও লাঠি জব্দ করার ঘটনা পরিকল্পিতভাবে সাজানো নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

দেশে যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরকার একদিকে সংলাপ করছে, অন্যদিকে একতরফা পাতানো প্রহসনের নির্বাচনের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ঠিক সেই সময়ে চট্টগ্রাম মহানগরী শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের অফিসে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা যে পুলিশের পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, তাতে কোন সন্দেহ নেই। দেশের ছাত্র সমাজের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাযমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্যেই সরকার পুলিশ দিয়ে নাটক সাজিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আমি তাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই যে, পুলিশ যখন এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে চারিদিকে ব্লক রেইড দিচ্ছিল, তখন ইসলামী ছাত্রশিবিরের তালাবদ্ধ অফিসে বোমা আসল কিভাবে? কিভাবেই বা কেউ তালাবদ্ধ অফিসে ঢুকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাল? আবার তারা নিরাপদে পালালই বা কী করে? কেউ যদি সেখানে থাকত তাহলে তারা নিশ্চয়ই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতো। কিন্তু কেউ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ এ ধারণা প্রচার করছে যে, পেছনের দুটি দরজা দিয়ে যে কারো পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় যে, পুলিশী বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে যে কেউ কিভাবে পালাতে পারল? এ থেকে সহজেই বুঝা যায় যে, পুলিশের বক্তব্য সর্বৈব মিথ্যা।

পুলিশ কোন দলীয় বাহিনী নয়। পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। কোন দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা পুলিশের কাজ নয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা সাজানো মামলা প্রত্যাহার এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”