৩০ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৬:১৫

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় বিস্ময় প্রকাশ

আপিল নিষ্পত্তির পূর্বে নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ৩০ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “নির্বাচন কমিশনের শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর নিবন্ধন লাভ করে। ২০০৯ সালে তরিকত ফেডারেশনের দায়ের করা এক রিট মামলার প্রেক্ষিতে শুনানীর জন্য মহামান্য হাইকোর্টের ৩ জন বিচারপতির সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠিত হয়। উক্ত বেঞ্চে শুনানী শেষে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিভক্তি রায় প্রদান করেন। প্রিজাইডিং জজ জামায়াতের নিবন্ধন বহাল রাখার পক্ষে ও অপর দু’জন বিচারপতি নিবন্ধনটি আইন সম্মত হয়নি মর্মে রায় প্রদান করেন। একই সাথে মামলাটির সঙ্গে সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত বিধায় মাননীয় বিচারপতিগণ আপীলের জন্য সার্টিফিকেট প্রদান করেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে আপীল (আপীল নং ১৩৯/২০১৩) দায়ের করা হয়।

জামায়াতের নিবন্ধন মামলাটি মাহামান্য আপীল বিভাগে বিচারাধিন রয়েছে, এমতাবস্থায় মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পূর্বে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারির কোন সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচন কমিশনের এ প্রজ্ঞাপন জারি উচ্চ আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের শামিল। আমরা নির্বাচন কমিশনের এ ভূমিকায় বিস্মিত।

আমরা এই প্রজ্ঞাপন জারির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।”