২৪ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ১১:১২

অন্যায়ভাবে পুলিশের অভিযানের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ

ঈদুল আজহার রাতে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের বাড়ীতে পুলিশের অভিযান অত্যন্ত অমানবিক ও মৌলিক মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারী ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদের পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় অবস্থিত গ্রামের বাড়িতে গত ২২ আগস্ট ঈদুল আজহার দিন রাতে তাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে পুলিশের অভিযানের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম আজ ২৪ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারী ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদের পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় অবস্থিত গ্রামের বাড়িতে গত ২২ আগস্ট ঈদুল আজহার দিন রাতে তাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে পুলিশের অভিযান চালানোর আমি তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে পুলিশের অভিযান চালানোর ন্যক্কারজনক ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক ও মৌলিক মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন।

ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ তার পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের সাথে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে গিয়েছিলেন। এ ধরনের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিবার-পরিজনদের সাথে উদযাপনের বাধা সৃষ্টি করা সম্পূর্ণ অন্যায়, অযৌক্তিক ও অনভিপ্রেত। শুধু তাই নয়, পুলিশ ড. মাসুদের বাড়ির পাশের দুটি মসজিদে অভিযান চালিয়ে মুসল্লীদের হয়রানি করেছে। আল্লাহর ঘর মসজিদে অভিযান চালিয়ে মুসল্লীদের হয়রানি করায় এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়েছে। এছাড়াও অভিযান চালানোর সময় ড. মাসুদের বাড়ির পাশের একটি কিশোর ছেলেকে পুলিশ গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে

এলাকাবাসীর প্রতিবাদের কারণে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধা থাকলে পুলিশ এ ধরনের আচরণ করতে পারত না। পুলিশের কাছ থেকে এ ধরনের ন্যক্কারজনক আচরণ কারো কাম্য নয়।

বাউফল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। তার অনুসারীদের সংঘটিত করে নাশকতা চালাবে এমন রিপোর্টের প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানোর যে কথা ওসি সাহেব বলেছেন তা নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি পিতা-মাতার সাথে ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্য গিয়েছিলেন। নাশকতা চালানোর জন্য অনুসারীদের সংঘটিত করার প্রশ্নই আসে না। ওসি সাহেবের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও বানোয়াট।

এ ধরনের কাল্পনিক বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি বাউফল থানার ওসির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”