২৬ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:২৬

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ব্যাপক ধরনের অনিয়ম-বিশৃঙ্খলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

বর্তমান সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়

আজ ২৬ জুন অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া, প্রকাশ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে ব্যালটের নৌকা প্রতীকে সিল মারা, ব্যাপক জাল ভোট প্রদানসহ নানা ধরনের অনিয়ম-বিশৃঙ্খলার খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ২৬ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “আজ ২৬ জুন অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া, প্রকাশ্যে আইন-শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে ব্যালটের নৌকা প্রতীকে সিল মারা, ব্যাপক জাল ভোট প্রদানসহ নানা ধরনের অনিয়মের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এ থেকে আবারো প্রমাণিত হলো যে, বর্তমান সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।  

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ডের কানাইঘাট কেন্দ্র, কোনাপাড়া জহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, পূবাইল উচ্চ বিদ্যালয়, কাসিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোনাবাড়ি জরুন এলাকার ৪ নং ভোট কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের আওয়ামী লীগের লোকেরা জোরপুর্বক বের করে দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে প্রকাশ্যে ব্যালটের নৌকা প্রতীকে সিল মেরেছে। ভোগারা ভোট কেন্দ্রে ৩শত ব্যালট পেপারসহ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী ধরা পড়ার পর ভোট বন্ধ রেখে দেড় ঘন্টা পরে আবার ভোট গ্রহণ করা হয়। ১৭ নং ওয়ার্ডের মুগার খাল ভোট কেন্দ্র দখল করে সরকারী দলের লোকেরা নৌকা প্রতীকে সিল মেরে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে সকল ভোট কাস্ট করে ব্যালট বই শেষ করে দেয়। কোনাবাড়ি গ্রেটম্যাট প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ৩০০ ভোট কাস্ট হওয়ার পর নির্বাচন বন্ধ করে দিয়ে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাগণ বলেন যে, ব্যালট শেষ হয়ে গিয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা রফিক উদ্দিন মন্ডল ৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বিঘ্নিত হওয়ার কথা স্বীকার করে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।  

বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী জনাব হাসান উদ্দিন সরকার ভোট কেন্দ্র দখল, তার নির্বাচনী এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগ উত্থাপন করে নির্বাচন স্থগিত করার কথা বলেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে নিরবতা পালন করেছে। এ সব ঘটনা থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি।

আমরা আগেও বলেছি এবং গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হল যে, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন প্রকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না।”