৮ মে ২০১৮, মঙ্গলবার, ৩:৪৭

সরকারের ফ্যাসিবাদী অপশাসনের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

গাজীপুর থেকে জামায়াত-বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের বহু সংখ্যক নেতা-কর্মীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণার পর গত ৬ মে গাজীপুর থেকে জামায়াত-বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের বহু সংখ্যক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে নাম উল্লেখ করে ১০৩ জন এবং অজ্ঞাত আরো দেড়শত জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং তাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ৮ মে, ২০১৮ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যেই গাজীপুর থেকে জামায়াত-বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের বহু সংখ্যক নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের জেলে আবদ্ধ করে রেখেছে। আমি সরকারের এহেন গর্হিত আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের জনগণ যথন ২০ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, ঠিক তখনই সরকার উপলব্ধি করল যে, সরকারের দলীয় প্রার্থীর ভরাডুবি ঘটবে। তখন নির্বাচনী প্রচারণার শেষ প্রান্তে এসে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হঠাৎ করে তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হলো। নির্বাচন স্থগিত ঘোষণার প্রেক্ষিতে ২০ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সাংবাদিক সম্মেলন শেষে নেতা-কর্মীরা যখন বাড়ি ফিরছিল, তখন পুলিশ উস্কানীমূলকভাবে ২০ দলীয় জোটের বহু সংখ্যক নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করে। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টির যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা ও বানোয়াট। নাশকতার সাথে তাদের কোন সর্ম্পক নেই।

ইতোপূর্বে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় গাজীপুর মহানগরী জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ এসএম সানাউল্লাহসহ ২০ দলীয় জোটের বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জনসমর্থন হারিয়ে সরকার জাতির ঘাড়ে একদলীয় ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মানুষ যাতে রুখে দাঁড়াতে না পারে সে জন্যই সরকার ২০ দলীয় জোটকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। এমনকি নির্বাচনে যাতে জনগণ ভোট দিতে না পরে সেজন্যই সরকার কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে একের পর এক নির্বাচন স্থগিত করছে এবং ২০ দলীয় জোটের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টির অপপ্রচার চালাচ্ছে। সরকারের ফ্যাসিবাদী অপশাসনের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ষড়যন্ত্র বন্ধ করে অবিলম্বে গাজীপুর মহানগরী থেকে এ পর্যন্ত জামায়াত-বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।”