৩০ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার, ৪:৪০

সরকার মানুষের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করে গর্হিত আচরণ করছে 

জনাব হামিদুর রহমান আযাদের নিখোঁজ মাতার জন্য আয়োজিত দোয়ার মাহফিলে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার অভিযান চলানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদের কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলায় অবস্থিত গ্রামের বাড়িতে গত ২৯ এপ্রিল তার নিখোঁজ মাতার জন্য এক দোয়ার মাহফিল আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত দোয়ার মাহফিল শেষে মাহফিলে অংশগ্রহণকারী মেহমানদের খাওয়া-দাওয়া চলাকালে বিপুল সংখ্যক পুলিশের অন্যায়ভাবে তার বাড়ি ঘেরাও করে জনাব হামিদুর রহমান আযাদের জ্যেষ্ঠ ভাইসহ মেহমানদের বেআইনীভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৩০ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “জনাব হামিদুর রহমান আযাদের গ্রামের বাড়িতে তার নিখোঁজ মাতার জন্য আয়োজিত দোয়ার মাহফিলে অন্যায়ভাবে বিপুল সংখ্যক পুলিশের গ্রেফতার অভিযান চলানোর ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য যে, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রলয়ংকরি ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে জনাব হামিদুর রহমান আযাদের শ্রদ্বেয় মাতাসহ বহু মানুষ প্রবল স্রোতে ভেসে যান। তার মাতার লাশের কোন সন্ধানও তারা পাননি। তার নিখোঁজ হওয়ার ঐ দিনে তার জন্য জনাব হামিদুর রহমান আযাদের কুতুবদিয়া উপজেলার বাড়িতে দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। দোয়ার শেষে অংশগ্রহণকারী মেহমানদের খাওয়া-দাওয়া চলাকালে পুলিশ বাড়ি ঘেরাও করে জনাব হামিদুর রহমান আযাদের জ্যেষ্ঠ ভাই, পাড়া-প্রতিবেশী-আলেম-উলামা, কয়েকজন হাফিজ এবং হিফজখানার ছোট ছোট এতিম ছাত্রসহ আরও ১৭ জন সম্মানিত মেহমানকে অন্যায়ভাবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

একটি আবেগপূর্ণ পবিত্র দোয়ার মাহফিল থেকে মেহমানদের গ্রেফতারের ঘটনায় কক্সবাজারের জনগণসহ আমরা সবাই অত্যন্ত ব্যথিত ও মর্মাহত। এ ঘটনার মাধ্যমে সরকার মানুষের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করে এক গর্হিত আচরণ করল। একটি মুসলিম দেশের সরকারের এ ধরনের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড অনাকাংখিত। এ সরকারের মুখে ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার বুলি মানায় না।

জনাব হামিদুর রহমান আযাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতারকৃতদের হয়রানী না করে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”