১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শনিবার, ৪:১৭

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অব্যাহতভাবে ফাঁস হওয়ায় গভীর উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা প্রকাশ

প্রশ্নপত্র ফাঁস করার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অব্যাহতভাবে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ১৭ ফেব্রুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “অব্যাহতভাবে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকগণের সাথে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। প্রশ্নপত্র ফাঁস করার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে।

একটি দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মেধাবী ও নীতি-আদর্শবান নেতৃত্ব প্রয়োজন। মেধাবী ও আদর্শবান নেতৃত্ব ছাত্রদের মধ্য থেকেই বেরিয়ে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার মাধ্যমে মেধাবী ও আদর্শবান নেতৃত্ব সৃষ্টি হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। মেধাবী ও আদর্শবান নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য একদিকে যেমন প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার প্রবণতা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে, অন্যদিকে পরকালে আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতার মানসিকতা সম্পন্ন সৎ এবং আদর্শবান নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য ইসলামী নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধ সম্বলিত পাঠ্য-পুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। তাহলেই মেধাবী, সৎ ও নীতি-আদর্শবান নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, সৎ, আদর্শবান মেধাবী নেতৃত্ব তৈরির সকল রাস্তাই সরকার বন্ধ করে দিচ্ছে। এটা জাতির জন্য আত্মঘাতি। এ অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে হলে সবাইকে ইসলামের দিকেই ফিরিয়ে আনতে হবে।

গোটা জাতি উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, বর্তমান সরকারের আমলে সকল পরীক্ষাতেই এমনকি বিসিএস ক্যাডারসহ চাকুরীতে নিয়োগের পরীক্ষাগুলোতেও ব্যাপকভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এতে অভিভাবকগণ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। গোটা জাতি এ ব্যাপারে সরকারের নিকট প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানালেও সরকার কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এতে সরকারের চরম ব্যর্থতাই প্রমাণিত হয়েছে।

এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মাধ্যমে সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাই ধ্বংস করে দিয়েছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের জোরালো দাবি উঠেছে। কিন্তু সরকার প্রধান তাকে পদত্যাগ না করতে নছিহত করে জাতির সামনে এ কথাই প্রমাণ করল যে, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যা কিছুই হয়েছে সবই তার সমর্থনেই হয়েছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কারণে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করার আগ্রহই হারিয়ে ফেলছে। এতে জাতির ভবিষ্যত আশা-ভরসার স্থল ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। এভাবে জাতিকে মুর্খতার অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার কোন এখতিয়ার সরকারের নেই।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সেই সাথে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শক্রমে যুগোপযোগী পরীক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”