৮ ডিসেম্বর ২০১৭, শুক্রবার, ৬:৪৯

কুরআন শিক্ষার ক্লাস থেকে গ্রেফতারের ঘটনা শুধু অন্যায়ই নয়, অমানবিকও বটে

জনাব এখলাস উদ্দিন খান ও জনাব আবুল হাসেম খানসহ জামায়াতের ৭ জন নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা উত্তর সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর জনাব এখলাস উদ্দিন খান ও অঞ্চল টীম সদস্য জনাব আবুল হাসেম খানসহ জামায়াতের ৭ জন নেতা-কর্মীকে আজ ৮ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় পবিত্র কুরআন শিক্ষার ক্লাস থেকে আশুলিয়া থানার পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ৮ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা উত্তর সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর জনাব এখলাস উদ্দিন খান ও অঞ্চল টীম সদস্য জনাব আবুল হাসেম খানসহ জামায়াতের ৭ জন নেতা-কর্মীকে পবিত্র কুরআন শিক্ষার ক্লাস থেকে আশুলিয়া থানার পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। তারা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।

বর্তমান সরকার জামায়াতে ইসলামীকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করার হীন উদ্দেশ্যেই সারা দেশে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে। সরকার পবিত্র কুরআন শিক্ষার ক্লাস থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে পবিত্র কুরআন শিক্ষায় বাধা দিচ্ছে। এর চাইতে ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর কি হতে পারে? জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের ইসলাম বিরোধী স্বৈরাচারী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

গোটা জাতি যখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে তখন সরকার নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির পরিবর্তে জামায়াতসহ বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে দেশের পরিস্থিতিকে অহেতুক উত্তপ্ত করছে। জনাব এখলাস উদ্দিন খান ও জনাব আবুল হাসেম খান দু’জনই বয়বৃদ্ধ জননেতা। টীম সদস্য জনাব আবুল হাসেম খান দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমীরের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ৮০ বছরের অধিক বয়স্ক একজন জননেতা। তাদের পবিত্র কুরআন শিক্ষার ক্লাস থেকে এভাবে গ্রেফতার করার ঘটনা শুধু অন্যায়ই নয়, অমানবিকও বটে।

সরকার দেশের জনগণের পবিত্র কুরআন শিক্ষা ও সভা-সমাবেশ করার মৌলিক অধিকার হরণ করে দেশবাসীর উপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকারের দু:শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা উত্তর সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর জনাব এখলাস উদ্দিন খানসহ সারা দেশে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”