১৩ নভেম্বর ২০১৭, সোমবার, ৬:৩১

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবীতে দেশব্যাপি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম বলেছেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের ক্রয়ক্ষমতা না বাড়লেও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতিতে জনদুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে। তাই ব্যর্থ ও জুলুমবাজ সরকারের পতনের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখী হতে হবে।

তিনি আজ রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত চাল, ডাল, আটা, তেল, তরকারী, মাছ, গোশ্ত, পিঁয়াজ, রসূনসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবীতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি উত্তর বাড্ডা থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেরুল বাড্ডা গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা মহানগরীর উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, মিজানুর রহমান, নিয়ামুল করিম, জামায়াত নেতা এ আর সরকার, জিল্লুর রহমান ও ছাত্রনেতা জামিল প্রমূখ।

লস্কর তসলিম বলেন, চাল, ডাল, আটা, তেল, তরকারী, মাছ, গোশ্ত, পিঁয়াজ, রসূনসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ না করে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই ব্যস্ত রয়েছে। তারা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। সরকার গণপ্রতিনিধিত্বশীল নয় বলেই তারা জনগণের কল্যাণে কোন কাজ করে না। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই অগণতান্ত্রিক সরকারের পরিবর্তে গণপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় আগামী দিনে গণদুর্ভোগ বাড়বে বৈ কমবে না।

তিনি বলেন, অগ্নিমূল্যের বাজারে এখন মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, ভারতীয় চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, দেশী বিআর ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, সরু চাল ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, আটা প্রতি কেজি ৩২ থেকে ৩৪ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি ১২৫ টাকা, মুগডাল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, মাষকলাই প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতলা প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মুরগী প্রতি কেজি ১২৫ থেকে ১৭০ টাকা, গরুর গোশ্ত প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকা, খাসির গোশ্ত প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১২০ টাকা, সিম ১৫০ টাকা, করলা, পটল, বরবটি ইত্যাদি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পিঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার একেবারেই বাইরে। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ দ্রব্যমূল্য যৌক্তিকভাবে নিয়ন্ত্রণের কোন বিকল্প নেই।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজধানীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত। মিছিলটি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে নি¤œবিত্ত সাধারণ জনগণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশের মূল্য পরিস্থিতি এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে। তাই আজ জনজীবনে চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে, যা জনগণের গোদের উপর বিষফোঁড়ার শামিল। বর্তমানে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে। জনগণকে সুফল দিতে হলে দ্রুত রেশনিং, টিসিবি, ন্যায্যমূল্যের দোকান, সুস্থ্য বণ্টন ব্যবস্থা চালু, পাইকারি ও খুচরা বাজারে রাষ্ট্রের প্রভাব-সক্ষমতা সৃষ্টি করে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দুষ্টচক্র সিন্ডিকেট এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কারণ, বাজারের নিয়ন্ত্রকেরাই এখন সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। পুলিশের গুলি ও সরকার দলীয় সন্ত্রাস এবং আওয়ামী দোষরদের ভয়ে মানুষ মুখ বুজে সব সহ্য করছে। দ্রব্যমূল্যের তীব্র কষাঘাতে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের জীবন আজ দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সেদিকে সরকারের কোন দৃষ্টি নেই। সরকার নিজের গদি রক্ষায় ব্যস্ত রয়েছে। সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধ করার জন্য কার্যকর কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত নয়। সেই কারণেই তারা জনগণের সুখ-দুঃখের কথা ভাবে না। তারা ভোটার বিহীন নির্বাচনের প্রহসন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নানা ফন্দি ফিকিরে ব্যস্ত রয়েছে। অযৌক্তিকভাবে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে এবং জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে দ্রব্যমূল্যও আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে দিন দিন। ফলে নিম্নবিত্ত ও প্রান্তিক জনগণের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। মূলত সরকার দেশে সুশাসনের পরিবর্তে অপশাসন ও দুঃশাসন চালাচ্ছে। মূলত এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনদুর্ভোগ বাড়বে বৈ কমবে না। নেতৃবৃন্দ দেউলিয়াপনা জুলুমবাজ এই সরকারের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য শামছুর রহমান, মুহাম্মদ কামাল হোসাইন, মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য আবু আব্দুল্লাহ, আমিনুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, জামায়াতে ইসলামী মতিঝিল থানা সেক্রেটারি মুতাছিম বিল্লাহ, সবুজবাগ থানা সেক্রেটারি আব্দুল বারী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহানগরী পূর্ব সেক্রেটারি মু. তোফাজ্জল হোসেন, অর্থ সম্পাদক সাইয়েদ মু. জুবায়ের, সাহিত্য সম্পাদক রেদওয়ান উল্লাহ, আইন সম্পাদক কে. এম. আসরাফুল ইসলাম প্রমূখ।

চট্টগ্রাম মহানগরী 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলত্তোর সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বর্তমান অবৈধ সরকার জনগণের দু:খ দুর্দশা লাগবের জন্য কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা। যেহেতু এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয় তাই তারা জনগণের দুর্বি¦ষহ অবস্থা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে না। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি আজ জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সরকার চাল,ডাল,তেল,পিয়াঁজ,রসুন ও শাক-সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামীলীগ নিজের গদি রক্ষায় ব্যস্ত। নগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার গঠন করে সকল দলের অংশ গ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী জানান।

চাল,ডাল,আটা, তেল,তরিতরকারি,মাছ,গোশত ও শাক সবজিসহ জনগণের সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ দিবসের অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

নগর জামায়াত নেতা আবু মুনয়িমের সভাপতিত্বে কোতোয়ালী এলাকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নগর জামায়াতের মজলিশে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাহমুদ ইলাহি, শ্রমিক নেতা মকবুল আহমদ, ছাত্রনেতা এফ.কে ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সিলেট মহানগরী

সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাকশালী সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করতেই জনগণের উপর জুলুম নিপীড়ন চালাচ্ছে। দেশ পরিচালনায় তারা সর্বাত্মকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের দুঃশাসনে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, আটা, তেল, তরি-তরকারী, মাছ, গোশত, পিঁয়াজ, রসূনসহ সব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন আজ দুর্বিসহ। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে সীমিত আয়ের নিম্নবিত্ত সাধারণ জনগণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। জনজীবনে চরম অস্বস্থি বিরাজ করছে। সীমিত আয়ের একজন চাকরিজীবী বর্তমানে প্রতিমাসে যে বেতন পান তাতে তাদের ১৫/২০ দিনের বেশি চলে না। বাকী দিনগুলো বাকীতে দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করে কিংবা ধার করে সংসার চালাতে হয়। কিন্তু সরকার সেদিকেই নজরই দিচ্ছেনা। তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে বিভোর হয়ে আছে। অবৈধ সরকারে পতন ছাড়া জনগণের মুক্তির কোন পথ খোলা নেই।

আজ সোমবার জামায়াত কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসুচীর অংশ হিসেবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর অসহনীয় উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সিলেট মহানগর জামায়াত। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, জামায়াত নেতা মুফতী আলী হায়দার, আব্দুল্লাহ আল মুনিম, হাফিজ মশাহিদ আহমদ, মু. আজিজুল ইসলাম, চৌধুরী আব্দুল বাছিত নাহির, শাহেদ আলী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন- দ্রব্যমূল্যের তীব্র কষাঘাতে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সেদিকে সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই। সরকার নিজের গদি রক্ষায় ব্যস্ত রয়েছে। সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধ করার জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত নয়। সেই কারণেই তারা জনগণের সুখ-দুঃখের কথা ভাবে না। তারা ভোটার বিহীন নির্বাচনের প্রহসন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নানা ফন্দি ফিকিরে ব্যস্ত রয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে ব্যর্থ হলে যে কোন সময় গণবিষ্ফোরণ ঘটতে পারে। দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে সকল দলের অংশ গ্রহনে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তাতেই জাতির মঙ্গল হবে।

কক্সবাজার শহর 

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাল, ডাল, তেল ও পিয়াজসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী  কক্সবাজার শহর। ১৩ নভেম্বর সোমবার বিকেলে, শহর জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। 

এছাড়াও রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা, নারায়াণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, পাবনা, নীলফামারী, দিনাজপুর, মানিকগঞ্জ, যশোর, বগুড়া, সুনামগঞ্জ, মৌলবীবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, চাদপুর, লক্ষ্মীপুর, চাপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের আরো বিভিন্ন জায়গায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ পালন করেছে জামায়াত।