২৯ অক্টোবর ২০১৭, রবিবার, ৭:৩২

দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত ভিত্তিহীন অসত্য রিপোর্টের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ

জামায়াত নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রী সংস্থার নেত্রীদের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্যেই দৈনিক যুগান্তরে বানোয়াট বক্তব্য ছাপা হয়েছে

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় “রিমান্ডে নেতাদের তথ্য, সরকার উৎখাতে জামায়াতের ষড়যন্ত্রের ছক পুলিশের হাতে” শিরোনামে আজ ২৯ অক্টোবর প্রকাশিত ভিত্তিহীন অসত্য রিপোর্টের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ আজ ২৯ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর গ্রেফতারকৃত শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নেত্রীদের রিমান্ডে থাকাকালে পুলিশের নিকট প্রদত্ত জবানবন্দীর বরাত দিয়ে দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্টে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা।

দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্টের জবাবে আমি স্পষ্টভাষায় জানাতে চাই যে, পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দ ও ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নেত্রীদের পুলিশের নিকট প্রদত্ত জবানবন্দীর উদ্বৃতি দিয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাত এবং আগামী বছরের শুরুতেই নাশকতার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির ছক আকার যে সব কথা লেখা হয়েছে তার মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই। জামায়াতের নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রী সংস্থার নেত্রীদের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্যেই পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্ট এসব বানোয়াট বক্তব্য ছাপা হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রী সংস্থা নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। কাজেই রিমান্ডে থাকাকালে জামায়াতের নেতৃবৃন্দের ও ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নেত্রীগণের ঐ ধরনের কোন বক্তব্য দেয়ার প্রশ্নই আসে না। সুতরাং পুলিশের হাতে জামায়াতের সরকার উৎখাতের ও নাশকতার পরিকল্পনার ছক থাকার প্রশ্ন অবান্তর।

জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে দৈনিক যুগান্তর ইতোপূর্বেও এ ধরনের ভিত্তিহীন অসত্য রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাদের সব রিপোর্টই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

অতএব এ ধরনের ভিত্তিহীন অসত্য রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”