১৪ জুলাই ২০১৭, শুক্রবার, ৬:০৮

জামায়াত নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

আমাদের সময় পত্রিকার রিপোর্টে জামায়াতের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের যে কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর

আজ ১৪ জুলাই আমাদের সময় পত্রিকায় ‘জামায়াত নিয়ন্ত্রণে চার নেতা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির সম্পর্কে যে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ১৪ জুলাই এক বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ইসলামী ও গণতান্ত্রিক সংগঠন। জামায়াতে ইসলামী গঠনতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হয়। তাই আমাদের সময় পত্রিকার রিপোর্টার জামায়াতের ভেতরে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের যে কথা বলেছেন, তা সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর।

প্রতিবেদক জামায়াতের চার নেতার সিন্ডিকেটের যে কথা বলেছেন তা শুধু মিথ্যাই নয় বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জামায়াত কোন সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালিত হয় না। জামায়াত তার গঠনতন্ত্র ও ঐতিহ্যের দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রতিবেদনের এক জায়গায় বলা হয়েছে ‘কেন্দ্রীয় আমীর ও সেক্রেটারী জেনারেল এদের (সিন্ডিকেট) বাইরে কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন না’ রিপোর্টারের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মনগড়া। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমীর সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। তিনি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাথে পরামর্শ করে সংগঠন পরিচালনা করেন।

জামায়াতে ইসলামীতে অন্ধ আনুগত্য বলে কিছু নেই। জামায়াতে ইসলামীতে যাকে যে দায়িত্ব প্রদান করা হয় তিনি তা পালন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। এখানে কাকে কোন পদ দেওয়া হল তা মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য এসব শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। ‘জামায়াতে ইসলামীতে নিজস্ব কর্মী বাহিনী বলে কিছু নেই, সব ব্যাপারেই শিবিরের উপর নির্ভরশীল’ প্রতিবেদকের এ বক্তব্যও সঠিক নয়। জামায়াত এদেশের গণমানুষের সংগঠন। তার প্রমাণ স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীদের বিপুলভোটে বিজয়ী হওয়া।

‘জামায়াতে ইসলামীতে যোগ্য ও মেধাবীদের মূল্যায়ন করা হয় না’ মর্মে যা বলা হয়েছে তা নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। ইসলামী আন্দোলনে যেভাবে নেতা নির্বাচিত করা হয় এখানেও ঠিক সেই পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়। সকল নির্বাচনেই তৃণমূল পর্যায়ের নেতা ও কর্মীদের সম্পৃক্ততা থাকে।

এই প্রতিবেদনে ইসলামী ছাত্রশিবির সম্পর্কেও নানা বিভ্রন্তিকর বক্তব্য প্রাকাশ করা হয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবির জামায়াতের কোন অঙ্গ সংগঠন নয়। ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের নিজস্ব সংগঠন পদ্ধতি অনুযায়ী পরিচালিত হয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। তাই এখানে জামায়াতের হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসেনা।

জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্যই এ ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।