৮ জুলাই ২০১৭, শনিবার, ৭:০৮

আমাদের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ

জামায়াত সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান

আমাদের সময় পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় “কর্মীরা জেলে-আত্মগোপনে, নেতারা বহাল তবিয়তে ”শিরোনামে ৮ জুলাই প্রকাশিত রিপোর্টেও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ৮ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের সময় পত্রিকায় ৮ জুলাই প্রকাশিত রিপোর্টে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে সব কথা লেখা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই।

বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রায় সকল নেতা-কর্মীই কোননা কোনভাবে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং হচ্ছেন। জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী যারা জেলেবন্দী ও জেলের বাইরে আছেন তাদের সকলের ব্যাপারেই জামায়াত খোঁজ-খবর রাখে এবং সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখে থাকে। সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে কেউ কেউ জামিন পাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ জামিন পাচ্ছেন না। আমাদের সময় পত্রিকা উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে জামায়াতের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আত্ম-গোপনে থাকার অসত্য রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাদের আত্ম-গোপনে থাকার প্রশ্নই আসেনা। সরকারই তো জামায়তের কোন নেতা-কর্মীকেই তাদের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান কোথাও স্বস্থিতে থাকতে দিচ্ছেনা। সেখানে আত্ম-গোপনের বিষয়াটি একেবারেই অবান্তর। সমাজের দর্পন হিসেবে গণমাধ্যমের কাছে আশা করি তারা সরকারের অন্যায় ও অনৈতিক বাড়াবাড়ির চিত্রই তাদের লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরবেন।

তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পর্যন্ত সকলেই সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হচ্ছেন। কেউই বহাল তবিয়তে নেই। জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করার হীন উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ তৃণমূল পর্যন্ত প্রায় সকল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদেরকে প্রায় প্রতিনিয়তই হয়রানি করা হচ্ছে।

জামায়াতের নেতা-কর্মীগণ সবাই কোননা কোন পেশায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি সাংগঠনিক দায়িত্বও পালন করছেন। বর্তমান সরকারের জুলুমের শিকার হয়ে অনেকেই চাকুরী হারিয়েছেন, কারো কারো ব্যবসা, দোকান-পাট, বাড়ী-ঘর, কৃষি খামারসহ বিভিন প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমাদের সময়ের রিপোর্টে জামায়াতের জনশক্তির মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই নেতা-কর্মীদের মধ্যে বৈষম্যেও কথা কৌশলে প্রচার করা হয়েছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবেনা।

তাই জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর অসত্য রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি আমাদের সময় পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আশা করছি তারা অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”