৮ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার, ৯:০৬

প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলেও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ

জনগণকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এ সব চুক্তি স্বাক্ষর করে সরকার চরম অনৈতিক কাজ করেছে

প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারকসহ সকল প্রকার চুক্তি জনগণকে হুবহু জানানোর আহ্বান

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ৮ এপ্রিল ২২টি চুক্তি ও প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারকসহ ৪টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলেও বহু প্রত্যাশিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ৮ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ভারত আমাদের নিকটতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ। ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই ভারতের সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় অনেক সমস্যা রয়েছে, যেগুলোর এখনও সমাধান হয়নি।

দেশবাসী আশা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা বন্ধ, বাণিজ্য ঘাটতি, ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্সা না দেয়া, গঙ্গার পানি বণ্টন চুিক্ত অনুযায়ী পানি না দেয়াসহ অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলোর সমাধানে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। কিন্তু ভারতের স্বার্থে ২২টি চুক্তি ও ৪টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলেও দীর্ঘ প্রত্যাশিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হল না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের যে আশ্বাস দিলেন, এ ধরনের আশ্বাস তারা অতীতেও দিয়েছেন। কিন্তু তারা সেই আশ্বাস অনুযায়ী কাজ করেননি। ফলে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, এ চুক্তি আদৌ হবে কিনা?

শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশের জনগণকে তাদের ন্যায্য পাওনা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এ সব চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করলেন। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, দেশপ্রেমিক জনগণ তিস্তা ও অন্যান্য ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্সা না পেলে এ সব চুক্তি মেনে নেবে না। তাড়াহুড়ো করে প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারল অথচ দীর্ঘ দিনের আকাংক্ষিত এবং বহুল আলোচিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি কেন স্বাক্ষরিত হতে পারল না? এ বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে জনগণ স্পষ্ট জবাব চায়। জনগণকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এ সব চুক্তি স্বাক্ষর করে সরকার চরম অনৈতিক কাজ করেছে। কাজেই এ সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের কোন নৈতিক বৈধতা নেই।

আমি সরকারকে অবিলম্বে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক বিশেষ করে প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক জনগণকে হুবহু জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় জনগণ তাদেরকে ক্ষমা করবে না।”